শহীদ জিয়া দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক : লেবার পার্টির আলোচনায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ
লেবার পার্টির আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ-শহীদ জিয়া ও আজকের বাংলাদেশ’শীর্ষক আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন-শহীদ জিয়া বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও মহান স্বাধীনতার ঘোষক। শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধ চায়নি, কনফেডারেশনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন। শহীদ জিয়া জাতির ক্রান্তিকালে জীবনবাজী রেখে ২৬ শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসাবে স্বাধীনতার ঘোষনা করেন। সেক্টর কমান্ডার হিসাবে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে ছাত্র-যুব, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষকে মুক্তির সংগ্রামে উৎসাহ যুগিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ কোনো ব্যাক্তি বা দলের একক অর্জন নয়। সর্বস্তরের মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের ফসল। মুক্তিযুদ্ধে চেতনার ডুগডুগি বাজালেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না। শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধে কোন অবদান নেই। তার সাথে কিছু
নেতৃবৃন্দ বলেন- আওয়ামী লীগের মুখে গনতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শোভা পায়না। তারা মুখে গনতন্ত্র আর কর্মকান্ডে বাকশালের চেতনায় বিশ্বাস করে। শেখ মুজিব রক্ষী বাহীনির নামে কমরেড সিরাজ সিকদার সহ জাসদের ৩৮ হাজার দেশপ্রেমিক নাগরিককে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা গনতন্ত্রের লেবাসে ক্ষমতায় গিয়ে ডিজিটাল বাকশাল কায়েম করেছে। র্যাব, পুলিশ, বিজিবিকে রক্ষীবাহিনীর ন্যায় ব্যবহার করে ১৯ দলীয় জোটের নেতা-কমীদের হত্যা, খুণ, গুম ও অপহরন করে হত্যা করছে। ৫ জানুয়ারী ভোটার বিহীন প্রহসনের নিবাচনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। ১৬ কোটি জনগন দখলদার ফ্যাসীবাদি সরকারের জুলুম অত্যাচার নির্যাতন থেকে মুক্তি চায়। তাই আওয়ামী জাহিলিয়াত থেকে সর্বস্তরের মানুষকে রক্ষায় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ বাচাঁও মানুষ বাচাঁও সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
আজ (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় মেজর জলিল মিলনায়তনে শহীদ জিয়ার ৩৩ তম শাহাদাত বাষির্কীতে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী, প্রধান বক্তা জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিশেষ অতিথি মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক রহমান, বক্তাব্য রাখেন- য্গ্মু-মহাসচিব মাহমুদ খান, অধ্যাপক মহসিন ভূইয়া, মিসেস শামিমা চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, শিক্ষকনেতা শেখ মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন, যুব বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, শ্রম সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী, ছাত্রফোরাম আহবায়ক কামরুল ইসলাম সুরুজ প্রমূখ। বিজ্ঞপ্তি