আদালতে ধর্ষক কালামের স্বীকারোক্তি : বন্ধুর কথায় নিজেও ধর্ষণে লিপ্ত হই
বিয়ানীবাজারে সদ্য এসএসসি পাশ দু’কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আরেক লম্পট। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটের আমল গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪ এর বিচারক কুদরত ই খোদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বিয়ানীবাজারের পূর্ব পইল গ্রামের আবদুর রব লবই মিয়ার ছেলে কালাম আহমদ। এই ঘটনার সাথে জয়নুলসহ ৫ জন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে।
কালামের জবানবন্দির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়- জয়নুলের ব্যক্তিগত বিরোধ মেটাতে ৫ জনে মিলে সিদ কেটে ঘরে ঢুকি। প্রথমে দুই মেয়ের বাবা-মাকে বেধে ফেলি এরপর তাদের দুই মেয়েকে মুখ বেধে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময় দুই বোনের ছোটটির সাথে সে ও আরেকজন মিলে খারাপ কাজ করে এবং বড় বোনের সাথে জয়নুলসহ তিন জনে মিলে খারাপ কাজ করে।
বন্ধু জয়নুলকে ঘটনার মুল হুতা আখ্যায়িত করে আবুল কালাম বলে- বন্ধুর কথায় সায় দিয়ে নিজেও ধর্ষণের ঘটনায় লিপ্ত হই। সে আমাকে রাত দেড় টায় চারখাই বাজার সংলগ্ন রাস্তার পাশে থাকতে বলে। তবে কি কাজ করতে হবে তা বলেনি। রাত দেড় টায় রাস্তার পাশ্বে যাওয়ার পর জয়নুলসহ চারজনকে দেখতে পাই।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা পইলগ্রামের আব্দুর রবের ছেলে আবুল কালাম (২৬)। শুক্রবার বিকেল ৪ টায় আদালতে জবানবন্দি গ্রহনের জন্য তাকে হাজির করেন বিয়ানীবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরে আলম। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরআগে এ ঘটনায় একই আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় গণধর্ষনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আরেক আসামি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কটিয়া গ্রামের সেলিম আহমদ।
গত ২৫ মে (রোববার) ভোররাতে বিয়ানীবাজারের চারখাই ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামে দুই দুই বোন গণধর্ষণের শিকার হন। নরপশুরা বাবা-মায়ের সামনে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আবুল কালামকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে গণধর্ষনের ঘটনায় চারজন গ্রেফতার হলেও মুলহুতা জয়নুল ও অপর আরেক আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
আবুল কালাম ছাড়াও এ ঘটনায় গ্রেফতার হন সেলিম আহমদ, সৈয়দুর রহমান সাইফুল ও পলাতক জয়নুলের বড় ভাই বাদিকে হুমকীদাতা নজরুল ইসলাম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন- জয়নুলসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। আশাকরি অতিদ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে পারবো।
সিলেটের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন- এ যাবত যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। আর মাত্র দুই জন বাকি অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাদেরকও গ্রেফতার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।