বিয়ানীবাজারে দুই তরূণীকে গনধর্ষনের নেপথ্যে…
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বছরখানেক আগে দুই তরুণীর পিতার সাথে চানাচুর কিনতে যেয়ে বিরোধ হয়েছিল পার্শ্ববর্তী গ্রামের জয়নুলের। এই বিরোধের জের ধরে দুই মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এমন তথ্য দেয় গ্রেফতারকৃত সেলিম আহমদ।
সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট চতুর্থ আমলীয় আদালতের বিচারক কুদরত-ই-খোদা তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
সেলিমের জবানবন্দির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়- সেলিম গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জয়নুলের বন্ধু। জয়নুল বিরোধের প্রতিশোধ নিতে তাদেরকে ধর্ষণের ঘটনায় সম্পৃক্ত করে। রোববার ভোররাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুই তরুণীর বাবা-মাকে বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কটিয়া গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে সেলিম আহমদ কানাইঘাটের বড়দেশ গ্রামে বসবাস করে আসছিল জানিয়ে আদালতে স্বীকার করে সে প্রত্যক্ষভাবে গণধর্ষণের সাথে জড়িত ছিল।
জবানবন্দিতে সেলিম জানায়- গত রমযান মাসে পেশায় চানাচুর বিক্রেতা দুই তরুণীর পিতার কাছ থেকে চানাচুর কিনতে গিয়েছিল বিয়ানীবাজারের জালালনগর গ্রামের মৃত মখদ্দম আলীর ছেলে জয়নুল ইসলাম (৩৫)। ওই সময় ব্যস্ততার কারণে তার কাছে চানাচুর বিক্রি করতে পারেননি দুই তরুণীর পিতা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দিয়ে জয়নুল বলেছিল একদিন এর শোধ নেবে। এই ঘটনার জের ধরেই পিতার সামনে দুই মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণকালে তারা পাঁচজন ছিল স্বীকার করে আদালতকে সেলিম আহমদ জানায়- জয়নুলসহ দু’জন বিয়ানীবাজারের এবং সেসহ অন্যরা কানাইঘাটের বাসিন্দা। এর মধ্যে সৈয়দুর রহমান সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিয়ানীবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরে আলম তাকে আদালতে হাজির করেন। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান- মামলার আসামি সৈয়দুর রহমান সাইফুলের পাঁচ দিনের রিমান্ডের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করা হবে। ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান- মঙ্গলবার নির্যাতিতা দুই তরুণীর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রোববার ভোররাতে সিলেটের বিয়ানীবাজার চারখাই ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামে নরপশুরা মা-বাবাকে বেঁধে চোখের সামনে সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুই তরুণীকে গণধর্ষণ করে। বর্তমানে তারা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।