শাবির ছাত্র হলে ছাত্রলীগের লুট, ভাঙচুর

sustশাবি প্রতিনিধিঃ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরিণ কোন্দলের জের ধরে ছাত্র হলে লুট ও ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। তাদের লুট ও হামলা থেকে বাদ যায়নি সাংবাদিকদের রুমও। রবিবার রাত ৯টার দিকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলে এ ঘটনা ঘটে। হলের ৪টি রুম থেকে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ২টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ২টি ল্যাপটপ, ৪টি মোবাইল ফোন সেট ও নগদ ২০ হাজার টাকা লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- রবিবার রাত ৮টার দিকে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পিযুষ কান্তি দে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান। তার উপস্থিতিতে বহিরাগত কয়েকজন ক্যাডার ছাত্রলীগের উত্তম-অঞ্জন গ্রুপের কর্মী বিবিএ মাস্টার্সের ছাত্র শফিকুল ইসলাম শফিকের শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে চড়-থাপ্পড় মারে। এসময় পিযুষের ক্যাডারদের সাথে যোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আসাদ গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে অঞ্জন-উত্তম গ্রুপের নেতারা এসে বিষয়টি পিযুষের সাথে সমঝোতা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সমঝোতা না করেই পিযুষ ক্যাম্পাস থেকে চলে যান।
পিযুষ চলে যাওয়ার পরই উত্তম-অঞ্জন গ্রুপের ক্যাডাররা বিভিন্ন হল থেকে ক্যাম্পাসে বের হয়ে আসে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর প্রক্টরিয়াল বডির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে অঞ্জন ও উত্তমের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন।
এদিকে, প্রক্টরিয়াল বডির সাথে অঞ্জন ও উত্তম আলোচনা করার সময় তাদের ক্যাডাররা সৈয়দ মুজতবা আলী হলের চারটি রুমে হামলা চালায়। তারা রুমে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন লুট করে। এছাড়া তারা প্রতিটি রুমের লাইট ও ফ্যান ভাঙচুরসহ জিনিসপত্র তছনছ করে।
তাদের হামলায় বাদ যায়নি সাংবাদিকদের রুমও। হলে অবস্থানকারী বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান নয়ন ও উত্তরপূর্ব প্রতিনিধি হাসান আদিলের রুমেও তারা হামলা চালিয়ে কম্পিউটার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে।