শাল্লা সদর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় নৌ এ্যাম্বুলেন্সের বেহাল অবস্থা
বিপ্লব রায় শাল্লা (সুনামগঞ্জ) থেকেঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রদানের এক মাত্র শাল্লা হাসপাতালটি কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে দিনের পর দিন নিমোজিত হয়ে পরছে। এই হাসপাতালে বর্ষায় জরুরী রোগীদের যাতায়াতের জন্য ১০/১১ অর্থ বছরে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার ক্রয় নৌ এ্যাম্বুলেন্সটি এখন অযতেœ অবহেলায় পরে নষ্ট হয়ে আছে। গতকাল সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়-হাসাতালের সামনে দীর্ঘ দিন যাবত পড়ে থাকা এ্যাম্বুলেন্সের বেহাল অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে এলাকার জনগনের চিকিৎসা সেবার এই নৌ এ্যাম্বুলেন্সটি এভাবে বিনষ্ট হচ্ছে তার খেয়াল রাখার কেউ নেই। এব্যপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মেজবা উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে এখন কোনো কিছু বলতে পারছি না, কারন–- এখানে আমি নতুন এসেছি। এবং ডাক্তার হেলাল উদ্দিনের সাথে কয়েক বার কথা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। বর্তমান সরকারের আমলেই এই ভাটির জনপদের অবহেলিত মানুষের বর্ষায় জরুরী সুচিকিৎসার পাওয়ার লক্ষে ১০/১১ অর্থ বছরে এই এ্যাম্বুলেন্স এখানে সরবরাহ করেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। সরবরাহের পর থেকে এক দিন ও রোগী আনা নেওয়ার কাজে এটি ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। কর্তৃপক্ষ জানান ব্যবহারে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয় বলে এটি ব্যবহার করা সাধ্যের বাহিরে। অথচ এলাকায় অভিযোগ রয়েছে এই এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার তেল খরচ ও মেরামতের নাম করে, বিল বাউচারের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ টাকা উত্তোলন করছেন। ্একদিকে এলাকার জনসাধারন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে অসাধুব্যক্তিগন সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এব্যপাওে শাল্লার অসংখ্য জনগনের সাথে, এ প্রতিনিধির কথা হলে তারা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নানান ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছে। এখন এলাকার জনসাধারনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে এর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করে, এই ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্স জনসেবার উপযোগী করে তুলার ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।