খালেদার দুর্নীতির ২ মামলা বকশিবাজারে স্থানান্তর

kaladaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা দুটি বকশিবাজারে অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে এ দুই মামলার বিচার কাজ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে চলছিল।
আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনে বহুসংখ্যক আদালতে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় এলাকাটি আদালত চলাকালীন জনাকীর্ণ থাকে। এ কারণে নিরাপত্তাজনিত কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৯(২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার মামলাগুলো পরিচালনার জন্য ওই (আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ) আদালতকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলা দুটিতে গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ-৩ বিচারক বাসুদেব রায়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
পরে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলাটি করা হয়। পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। দুটি মামলারই বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন একান্ত সচিব ও বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তবে হারিছ চৌধুরী এ মামলায় শুরু থেকেই পলাতক। অন্যরা সবাই জামিনে আছেন।