বালাগঞ্জে সনদপত্র বিক্রি ও অবৈধ সনদ দিয়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ

certificateএসএম হেলাল, বালাগঞ্জঃ বালাগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম কর্তৃক ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৮ম শ্রেণীর সনদ বিক্রি এবং অবৈধ এই সনদপত্র দিয়ে দপ্তরী পদে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে পৃথক লিখিত অভিযোগ দাখিল দাখিল করা হয়েছে। তবে সনদ বিক্রির অভিযোগ মিথ্যে ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম স্থানীয় ওয়ারিশ উদ্দিনের কাছে ৩০হাজার টাকার বিনিময়ে ৮ম শ্রেণী পাশের সনদপত্র বিক্রি করেন এবং দপ্তরী পদে তাকে নিয়োগ পাইয়ে দিতে সহযোগীতা করেন। অবৈধ সনদপত্র বাতিল এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরবারে লিখিত অভিযোগে নিয়োগপ্রাপ্ত ওয়ারিশ উদ্দিন পঞ্চম শ্রেণীও পাশ করে নাই বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ওয়ারিশ উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে উল্লেখ করে তার নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
অভিযোগকারী রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহসভাপতি খালিকুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষক টাকার বিনিময়ে সনদপত্র বিক্রি করেছেন এবং ঐ সনদপত্র দিয়ে নিয়োগ পেয়েছে একজন অশিক্ষিত লোক। প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়ারিশ উদ্দিন স্কুল থেকে লেখাপড়া করে পাশ করেছে বিধায় টাকা দিয়ে সনদপত্র বিক্রির প্রশ্নই উঠেনা। অভিযোগটি মিথ্যে ও বানোয়াট।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।