সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিয়ানীবাজারের জাবেদের লাশ উদ্ধার

rubel, rahel and javedমাধবপুর প্রতিনিধিঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকট মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার ২৬ ঘন্টা পর আরো একজনের লাশ পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম জাবেদ হোসেন (৩০)।- এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪।
মঙ্গলবার সকালে নিহতদের স্বজনরা দুঘর্টনাস্থল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা স্কুলের পাশে একটি ডোবায় তল্লাশী চালিয়ে জাবেদ হোসেনের লাশ উদ্ধার করে। নিহত জাবেদ হোসেন সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার ফতেপুর গ্রামের অদল মিয়ার ছেলে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে উল্লেখিত স্থানে মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ঘটনায় রুহুল আমিন, রুবেল, রাহেল নামে ৩ যুবকের মৃত্যু হয়। আহত হয় অনন্ত ৬ জন। দুঘর্টনার পর মাইক্রো আরোহী জাবেদ হোসেনকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার স্বজনরা মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে একটি ডোবায় তল্লাশী চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। উল্লেখ্য ইউরোপের দেশ বেলারুশে একসঙ্গে পাড়ি দেওয়ার বাসনা ঢাকার উদ্দেশে রোববার রাত ৩টার দিকে বাড়ি থেকে মাইক্রোবাসে করে তিন বন্ধু জাবেদ, রুবেল ও রাহেল রওয়ানা দেন। হবিগঞ্জের মাধবপুর যাওয়ার পর তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়ে। ঘটনাস্থলে রুবেল এবং মাধবপুর হাসপাতালে নেওয়ার পর রাহেল মারা যান। এ দুর্ঘটনার পর থেকে জাবেদ আহমদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বেঁচে আছেন কী মারা গেছেন তা কিছুই জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পর থেকে তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ঢাকা মেডিকেলসহ ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকার হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে খোঁজ করলেও রাত ৯টা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি। হাইওয়ে পুলিশের উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে জাবেদকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি সারা দিন সচল ছিল। ফোনে এক ব্যক্তি কথা বললেও কোনো পরিচয় দিচ্ছে না। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সঙ্গে থাকা ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসেরও হদিস মিলছে না। এদিকে নিহত এমরান হোসেন রাহেল ও রুবেল আহমদের লাশ সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।