অপহৃত স্কুলছাত্র উদ্ধার, মুক্তিপণসহ গ্রেপ্তার ৫

akramul alom dipuসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ গাজীপুরের সালনা এলাকা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্র আকরামুল আলম দীপুকে (১৫) উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় অপহরণে জড়িত ৫ জনকে মুক্তিপণসহ গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন (এপিবিএন)-৭ এর সদস্যরা। শুক্রবার গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
দীপু গাজীপুরের মীরেরগাঁও এলাকার প্রবাসী নজরুল ইসলামের ছেলে। সে সালনা নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র। গ্রেপ্তারকৃতরা হল- মীরেরগাঁও এলাকার আব্দুস সামাদ সরকারের ছেলে এরশাদ (২৫), একই গ্রামের কবিরউদ্দিনের ছেলে সবুজ (২২), বোরহানউদ্দিনের ছেলে ইসমাইল (২০), নীলফামারী জেলা সদরের ডুবাছবি এলাকার নজরুল ইসলামের চেলে আরশাদুল ইসলাম (২০) ও রাজবাড়ি জেলার কোমড়পাড়া এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে খন্দকার আজিজুর রহমান (৩৪)।
এপিবিএন-৭ এর অধিনায়ক আশরাফুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৯ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে প্রতিবেশি কবিরউদ্দিনের ছেলে সবুজ দীপুকে স্থানীয় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তার অন্য চার সহযোগির হাতে তুলে দেয়। পরে তারা তাকে অজ্ঞাত স্থানে রেখে দেয়। এ নিয়ে দীপুর মা আলেয়া বেগম একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে অপহরণকারীরা দীপুর পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে ২৫ হাজার টাকা বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। ওই সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে প্রথমে সবুজকে আটক করে এপিবিএন সদস্যরা। পরে সবুজের দেয়া তথ্যমতে এপিবিএন অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে টাঙ্গাইল জেলার কালীহাতী উপজেলার পাইকড়া এবং বল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দীপুকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার (নং ঢাকা মেট্রো খ ১১-১৮৩৮) এবং মুক্তিপণের চার হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষে দীপুকে তার মা আলেয়া বেগমের কাছে তুলে দেন এপিবিএন কর্মকর্তারা। সম্মেলনে এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার ফরহাদ খান। উদ্ধারকৃত দীপু জানায়, অপহরণকারীরা তাকে কোমল পানীয় পান করায়। এরপর সে আর কিছু বলতে পারেনি। পরে তাকে একটি প্রাইভেটকারে উঠায়। দীপুর মা আলেয়া বেগম জানান, দীপুর বাবা নজরুল ইসলাম গত কয়েক বছর ধরে প্রবাস যাপন করছেন। দেশের বাইরে থেকে দুশ্চিন্তাগ্রস্তের আশঙ্কায় ছেলে অপহরণ ও মুক্তিপণের বিষয়টি তার বাবাকে জানানো হয়নি। এদিকে মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় বার বার তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।