সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব
৩দিন ব্যাপী কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ট্রেনিং প্রোগ্রাম এর সমাপনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেছেন, সিলেটে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভুমিকম্পের ঝুকি খুব বেশি। সিলেটের টিলা-পাহাড়গুলোকে কেটে, নদীগুলোকে ভরাট করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করা হচেছ। ফলে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে দেশের প্রতি সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। এইভাবে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব।
৩দিন ব্যাপী অগ্নি নির্বাপন, অনুসন্ধান ও প্রাথমিক চিকিৎসা শীর্ষক কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ট্রেনিং প্রোগ্রাম এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফিন্স সিলেট বিভাগের উদ্যোগে তালতলাস্থ ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ে এ ট্রেনিং প্রোগ্রাম এর সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম আরো বলেন, বড় বড় দুর্ঘটনায় অনেক সময় ফায়ারসার্ভিস কর্মীদেরকেও জীবন দিতে হয়। রানা প্লাজা ধ্বংস হবার পর থেকে জনগন বিল্ডিং ধসের প্রতি সচেতন হচ্ছে। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রত্যেককে তা বাস্তবজীবনে কাজে লাগাতে হবে। স্বেচ্ছাসেবীরা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষাথীকে জানাতে হবে।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স হবিগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক মোঃ মানিকুজ্জামান-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফিন্স সিলেট বিভাগের উপপরিচালক মোঃ এরফান আলী সোনার। ক্বারী মালিক আহমদ লায়েক-এর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অক্সফামের আরবান ডিআরআর প্রজেক্ট অফিসার সুবর্না সাহা, কো-অর্ডিনেটর শাহ এমরান, ভার্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোমেন খান প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স সিলেট বিভাগের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্যে মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, যখনই কোন দুর্ঘটনা ঘটবে আজকের প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের প্রশিক্ষণকে কাজে লাগাবেন। বড় ধরনের কোন দুর্যোগই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে একা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবীরা ফায়ার সার্ভিসের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সকল প্রকার দুর্ঘটনায় সবার আগে স্বেচ্ছাসেবীদেরকে উপস্থিত থাকতে হবে।