ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড বিশ্বনাথ : স্কুল কলেজ মাদ্রাসাসহ বসতঘর বিধ্বস্থ, আহত ১০
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথঃ ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা। গত রবিবার মধ্যরাতে ঘন্টাব্যাপী এ তাল্ডবে উড়িয়ে নিয়েছে বহু মানুষের ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্টান ও বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভেঙ্গে পড়েছে হাজারো গাছপালা। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুরো ফসল। তান্ডবে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। আহতরা হলেন দ্বীপবন্ধ বিলপার গ্রামের আবুল হোসেন, তার স্ত্রী ও ছেলে। অন্যান্য আহতদের নাম জানাযায়নি।
একাধিক স্থানে তার ছিড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা। সিলেট আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, কাল বৈশাখী ঝড়ের গতিবেগ ছিলো ঘন্টায় ৮২ কিলোমিটার। উল্লেখযোগ্য ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাম গুলো হলো, খাজাঞ্চির প্রয়াগমহল, কর্মকলাপতি, গোমরাগুল, কারিকোনা, দশঘরের বাউসী, বিশ্বনাথ সদরের পশ্চিম শ্বাসরাম, গোয়াহরি, সরুয়ালা, নোয়াগাঁও, সরিষপুর, রামপাশার নরসিংপুর।
পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের সাহেলা বেগম বলেন, বসতঘরে চালার টিন নিয়ে গেছে ঘূর্নিঝরে। তিনি বর্তমানে অসহায় অবস্থায় শিশু পুত্রকে নিয়ে চালবিহীন অবস্থায় রাত পার করবেন বলে জানান। তাকে সহযোগিতা করার জন্য বিত্তবানদেন প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
গোয়াহরি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, প্রচন্ড বেগে বয়ে যাওয়া ঘূর্নিঝরে বাড়ির বড় বড় গাছ উপড়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে গ্রামের মানুষের লাগানো বৃক্ষের।
মাধবপুর-কর্মকলাপতি গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা তাহিদুজামান জানান, সরকারী রাস্তায় চুক্তি ভিত্তিক ভাইয়ের লাগানো বৃক্ষের বড় নামি-দামি গাছ উপড়ে পড়েছে। এছাড়া বাড়ির বসতঘরের টিলে চালা ঝড়ে নিয়ে গেছে। তিনি দু:স্থ অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকার ও বিত্তবানদেন এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেন।
আবু হেনা মোহাম্মদ ফিরোজ আলী বলেন, ভয়াবহ অবস্থা। এই অবস্থায় গরীব, অসহায় মানুষ সহজে বসতঘরে টিন ছাড়া (খোলা) ভাবে রাত কাটাতে হবে অনেকের। তিনি বলেন, জরুরী ভিত্তিতে সরকারীভাবে ঘর মেরামতে টিন দেয়া বড়ই প্রয়োজন।