কুলাউড়ায় বখাটের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাগান পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বাগান কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কোন প্রতিকার না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা রোববার ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অনতিবিলম্বে বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন অন্যতায় তারা অব্যাহত আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
নির্যাতনে স্বীকার মেয়েটির বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাগান পঞ্চায়েতর লিখিত আভিযোগটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দেওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তিনি এ অভিযোগটি বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন। রোববার বরমচাল ইউনিয়নে সালিশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে বখাটে সুমির উপস্থিত হয়নি। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।উল্লেখ্য, চা শ্রমিক শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বরমচাল চা বাগানের মৃত রাম নারায়ণ গোয়ালা ও বরমচাল ইউপির মহিলা সদস্য বাসনÍী গোয়ালার বখাটে পুত্র সুমির গোয়ালা (২৭) প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করে। এছাড়াও বাগানের স্কুল ও কলেজগামী অন্যান্য ছাত্রীদের নোংরা ও অশ্লীল ভাষায় উত্যক্ত করলেও লোকলজ্জার ভয়ে তারা তা গোপন রাখতো। কেউ প্রতিবাদ না করায় বেপরোয়া হয়ে উঠে সুমির। মৌখিক উত্যক্তের পাশাপাশি ছাত্রীদের শারীরিক নিপীড়ন শুর” করে। গত কয়েকদিন থেকে সুমিরের বখাটেপনা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তার নিপীড়নের শিকার মেয়েটি স্কুল যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। ঘটনাটি মেয়ের বাবা বাগান পঞ্চায়েতকে অবহিত করেন।
বরমচাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইছহাক চৌধুরী ইমরান জানান, ইউনিয়নে সালিশে সুমির গোয়ালা উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানাচ্ছি।