তাহিরপুরে বোরধানের বাম্পার ফলন,
কামাল হোসেন, তাহিরপুরঃ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভাল বাসি। এ যেন সত্যি সোনার বাংলা। দেশের সমগ্র হাওরজুরে সোনালী রঙের পাকা ধান দেখে মনে হয় যেন ধানের সমুদ্র নয়, সোনার সমুদ্রে ঢেউ খেলছে হাওরের পর হাওর। এমন সোনালী রংঙ্গের পাকা ধান দেখে অতীতের সকল দুখ্যা কষ্ট ভোলে কৃষকের মনের আনন্দে বোরধান কাটা শুরু করেছে হাওর পাড়ের কৃষকরা। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে জাজাযায়, ১০-১৫ দিন ধরে তাহিরপুর উপজেলার ছোট-বড় ২৩ টি হাওরে পুরোদমে বোরধান কাটা শুর হয়েছে। দিন রাত চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে হাওর পাড়ের কৃষক পরিবার গুলো। সুনামগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষিশ্রমিকরা এ এলাকায় ধান কাটতে আসলেও চলছে শ্রমিক সংকট।এবং হাওরের বেড়িবাঁধর নাম সারনোভাবে কাজ করার ফলে আগাম বন্যা আর পাহাড়ী ঢলে হাওর পাড়ের কৃষকরা তাদের বোর ফসল হারানোর ভয়েএখন ঘরের বউ পোলাপানসহ চড়া মুজরিতে কৃষিশ্রমিক লাগিয়ে ধানকাটতে ব্যাস্ত— সময় পাড় করছে। তারা জানায় আগামী ১২-১৩ দিনের মধ্যে সব গুলো হাওরের ধানকাটা শেষ করে পাকা ধান গোলায় তুলতে পারবে। উপজেলার মলিয়া হাওর পাড়ের লামাগাঁও গ্রামের কৃষক রামজান আলী (৬৫), হাশিম মিয়া (৬০), আরাল মিয়া (৫৫)সহ আরও অনেকে জানায়, এবার ধানের ফলন বাম্পার হয়েগেু তবে হাওরের বাঁধ গুলো খুব র্দুবল হওয়ার কারণে আমরা কিছুটা ভয়ে আছি। উপজেলার বৃহৎ হাওর শনির হাওরের কৃষক আক্কল আলী (৭০) বলেন, এবছর বোর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমি ২২ কেয়ার (৩০ শতাংশে এক কেয়ার) জমি করেছি। ১৩/১৪ কেয়ার জমির ধান কাটছি । তিনি আরও বলেন, কেয়ক বছর বোর ধানের ভাল ফলন না হওয়ার কারণে অনেক কৃষকেই এবার দান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চরা সুদে টাকা এনে জমিতে ধান লগিয়েছে। তাই বেশির ভাগ ধানই তাদের দিয়ে দিতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন পেশাজিবী মানুষের সঙ্গে বললে তারা বলেন, এবার বোরধানের বাম্পার ফলন আর্শীবাদ হিসাবেই দেখেছে হাওরবাসী। তাহিরপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, এ উপজেলায় এবার ছোট-বড় ২৩ হাওরে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরধানের আবাদ হয়েছে। হাইবিড জাতের ৮৬০ হেক্টও, উপশি ১০৬১০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ৪৫৩০ হেক্টর । আবহাওয়া বাল থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে সব হাওরের ধান কাটা শেষ হবে এবং লক্ষ মাত্রার ছেয়ে এবার দিগুণ ধান উৎপাদন হবে বলে তারা জানান। নবনির্বাচিত তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, এ উপজেলায় বোর ধানের ফলন এবার খুব ভাল হয়েছে। তবে হাওর রক্ষা বাঁধগুলো খুব দূর্বল হয়েছে।যার কারণে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ী ঢল ও অকাল বন্যায় অতি সহজেই হাওরে পানি প্রবেশ করে কৃষকের সোনার ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। বাঁধ গুলোর কোনটা ৩০ % কোনটা ৪০% কাজ করে বাকী টাকা বাঁধের সাথে জরিত সকলের পকেট বরেছে। আমি এর(বাঁধে) ফাইনাল বিল না দেয়ার জন্য ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি।