সিলেটে চার গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

fightসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ একটি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে চার গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয় পাগইল, ফকিরের গাঁও, পাকইকরাজ ও ডুকরি গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৪০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টা থেকে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। রাত ১১ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদসহ নেতৃস্থানীয়রা প্রশাসনের লোকজনকে সাথে নিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্ঠা চালান। সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সিলেট মহনগরীর জালালাবাদ থানার সহকারি পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব মন্ডল রাত পৌনে ১১ টায় সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার পাগইল গ্রামের আলতাব হোসেনের স্ত্রী-সন্তান বাড়িতে যাওয়ার পথে শিবেরবাজার এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিক্সা ধাক্কা দিলে এতে আলতাব হোসেনের শিশু পুত্র গুরুতর আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাগইল গ্রামের লোকজন সিএনজি অটোরিক্সা চালক আজির উদ্দিনকে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করেন। ওই চালকের বাড়ি পাশ্ববর্তী ডুকরি গ্রামে। এ নিয়ে পাগইল গ্রামের সাথে ডুকরি গ্রামের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ডুকরী গ্রামের সাথে যোগ দেয় ফকিরেরগাঁও ও পাকইকরাজ গ্রামের লোকজন। উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এদিকে, ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে সেলিম মিয়া মেম্বার ও তেরাই মিয়া মেম্বার, শমসের মিয়া, আজিজুল ইসলাম, আবদুন নুর, শাহপরান, রুকন মিয়া, জয়নাল আবেদীন, আলী আহমদ, আকবর আলী, নিজাম উদ্দিন ও মানিক মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ওসমানী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সিলেট জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গৌছুল আযম জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনের বাইরে ছিল। অবশ্য পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিধিদের নিয়ে পুলিশ প্রশাসন চার গ্রামের লোকজনকে শান্ত করে। এ ঘটনাটি আপোষে মিমাংসার লক্ষ্যে চার গ্রামের মুরব্বীদের নিয়ে বৈঠকের আহবান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।