বয়স্কভাতা : সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে সুবিধাভোগী ৪ শতাধিক

BD_OLDER_PEOPLEউত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকে॥ দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এনে পৃথিবীর অন্যান্য কল্যান রাষ্টের ন্যায় তাদেরকে আর্থিক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে মনোবল জোরদার,পরিবারে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই সরকার বয়স্কভাতা নামক যুগোপযোগী উদ্যোগ চালু করেছে। কোন মানুষ যখন সারাটি জীবন পরিশ্রম করে শরীরের শক্তি ব্যয় করে জীবিকা নির্বাহ করার পর বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয় তখন হতদরিদ্র পরিবারে বয়স্কদের চিকিৎসা ও দেখাশোনার জন্য তাদের যখন কোন অবলম্বন থাকে না,তখন তাদেরকে নিজের কাছে অসহায়বোধ মনে হয়। ঠিক সেই সময় কিছুটা হলেও বয়স্কভাতা পাওয়ার মাধ্যমে তারা বেচেঁ থাকার অবলম্বন খোজে পায়। দেশের অন্যান্য স্থানের মত নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ৮ নং ইউনিয়নের দরিদ্র পীড়িত বয়স্ক মানুষ এর সুফল পাচ্ছেন। ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ ইউনিয়নে গরীব ও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরে‌্যার হিসাব অনুযায়ী ২০১১ সালের আদমশুমারীর চুড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী এ ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা হল ১৯ হাজার ৮শত ৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৭শত ৭৯ জন আর মহিলা ১০ হাজার ২৬ জন। অধিক জনসংখ্যা বহুল এই ইউনিয়নটি বিভিন্ন সময় অবহেলিত থাকার কারনে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের সুবিধা থেকে অনেক এলকা বঞ্চিত হয়েছে। এই ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ড গ্রামীন অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে,যার কারনে এই ইউনিয়নে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সরকারের যুগোপযোগী এ উদ্যোগের ফলে সীমিত হলেও বয়স্কভাতার সুযোগ পাচ্ছেন বর্তমানে ৪শত ৬ জন দরিদ্র বয়স্ক মানুষ। টাকার পরিমান কম হলেও দরিদ্র মানুষের জন্য এই ভাতা অত্যান্ত জরুরী। প্রতিমাসে তাদেরকে মাথাপিছু ৩শথ টাকা হাওে প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর টাকা প্রদানের কথা থাকলেও সরকারী তহবিল থেকে টাকা কালেকশন কার্যক্রম বিলম্ব হওয়ায় ৬ মাস অন্ত অন্তও এককালীন ১ হাজার ৮ শত টাকা ভাতা প্রদান করার হয়। এককালীন পাওয়া এই টাকা দিয়ে বয়স্ক পুরুষ মহিলারা তাদেও পছন্দমত চাহিদা মোতাবেক কিছু খাওয়া পরার চাহিদা মেঠাতে পারেন।তবে এ ভাতার আওতায় আসেন হতদরিদ্র পরিবারের বয়স্ক লোকজন।
খোজ নিয়ে জানাযায়,বিগত ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে দেশব্যাপী এে ভাতা চালু কওে আওয়ামীলীগ সরকার। তবে পরবর্তীতে বিএনপি চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসেও এ কর্মসূচী বহাল রাখে। মূলত এ ভাতার তালিকা প্রস্তুত করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পদাধিকার বলে ইউনিয়ন পরিষদেও নির্বাচিত চেয়ারম্যান হলেন ভাতা প্রস্তুত কমিটির সভাপতি। তারপর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কাজ করেন প্রত্যেক উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর। তথ্যসুত্রে জানাযায়,যে সকল পুরুষ বয়স্ক ব্যক্তিদেও বয়স সর্বনিু ৬৫ বছর এবং মহিলা বয়স্ক ব্যক্তিদেও বয়স ৬২ বছর এবং যার বার্ষিক গড় আয় অনুর্ধ্ব ৩ হাজার(তিন হাজার টাকা) তাছাড়া যারা শারিরিকভাবে সম্পূর্ন অক্ষম ও ভুমিহীন বসত বাড়ী ব্যাতিত জমির পরিমান ০.৫ একর বা তার চেয়ে কম। যে সকল বয়স্ক ব্যক্তি সরকারী কর্মচারী হিসাবে পেনশন ভোগ করেন না,ভিজিডি কার্ডধারী নন অন্য কোন সরকারী অনুদান,বে-সরকারী সংস্থা,সমাজ কল্যানমূলক প্রতিষ্টান হতে নিয়মিতভাবে আর্থিক অনুদান কিংবা ভাতা গ্রহন করের না তারাই বয়স্কভাতা পাওয়ার যোগ্য।তালিকাভুক্ত কার্ডধালীদেও ক্ষেত্রে নমিনি প্রথা চালু করেছে সরকার।কোন কার্ডধারী বয়স্ক লোক মুত্যবরন করলে নমিনি পরবর্তী সময়ে ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন।কিন্তু ভাতা প্রদানেরক্ষত্রে সরকার প্রদত্ত নিয়মকানুন নির্বাচিত অনেক জনপ্রতিনিধিরা অনুসরন করেন না। তারা জনস্বার্থকে এড়িয়ে গিয়ে নিজের স্বার্থে অথ্যাৎ ভোট প্রাপ্তির আশায় হিসাব কষে বয়স্ক ভাতার চুড়ান্ত তালিকা তৈলী করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ সদন ৮ নং ইউনিয়নের সচিব মোঃ আইনুল হক জনান, এ ইউনিয়নের লোকসংখ্যার অধিকাংশই গরিব ও দরিদ্র শ্রেনীর। বিশেষ করে হালিতলা,ফ’র্ব জাহিদপুর,বারিকান্দি,কানাইপুর গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশী। তাই এ ইউনিয়নে সরকারী সুযোগ সুবিধা আরো বেশী কওে বরাদ্দ করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ সদন ৮ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী মোক্তাদির চৌধুরী বলেন,বয়স্কভাতা প্রথা চালু সরকারের একটি ভাল দিক হলেও আমার ইউনিয়নে গরীব দরিদ্র মাণুষের সংখ্যার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ার কারনে অধিকাংশ দরিদ্র মানুষজন আমাদের উপর নারাজ। তাই এ ইউনিয়নে ভাতার পরিমান আরো বাড়ালে সাধারন মানুষ তার সুফল পাবে।