সাভার ট্রাজেডির খলনায়ক রানার কারাগার জীবন
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ক্ষত এখনো মোছেনি। শুকায়নি স্বজনহারাদের চোখের জল। কিন্তু এইসব স্বজন হারানোদের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক, চাপা ক্ষোভ। ঘটনার খলনায়ক কি পার পেয়ে যাবে ক্ষমতা বলে। এমন প্রশ্নের জন্মের কারণ এ কারণেই যে, এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো তার বিচার হয়নি। অদৌও তার বিচার হবে কিনা তা নিয়েও তাদের মনে রয়েছে সংশয়। কেমন আছেন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা? কি অবস্থা তার? কারাগারেইবা কেমন আছেন তিনি?
জানা গেছে, গাজীপুরের কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে সাধারণ বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন রানা প্লাজার মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানা। নীলগিরির ছয়তলা ভবনের তিন তলার ২৭ বর্গফুটের একটি সেলে তাকে রাখা হয়েছে । তার পাহারায় নিয়োজিত রয়েছেন দুই কয়েদি। অন্যান্য কয়েদির চেয়ে তিনি বেশিই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। ভাগ্য বলে কথা। কারাগারে প্রতিটি কক্ষে একাধিক বন্দি থাকলেও রানার ভাগ্যে জুটেছে একটি কক্ষ। সেখানে একাই থাকেন তিনি।
কারাগারের এক কর্মকর্তা বলেন, রানার সকাল-বিকেলের খাবারের তালিকায় রয়েছে বাড়তি আয়োজন। তার সকালের নাস্তায় নিয়মিত থাকে রুটি, সবজি এবং ডিম। আর দুপুরের খাবারে মাংস, মাছ ও দুধ। আবার বিকালের নাস্তায় দুধ-বিস্কুটসহ একাধিক আইটেম তার চাই-ই। কারাগারে আড্ডায় দিন কাটছে যুবলীগ নেতা রানার। রয়েছে তার একটি বন্ধুমহল। যাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে দিন কাটলেও মাঝে মধ্যে নামাজ পড়েন রানা। হাজারো এ খুনির বেশি সময় কাটাছে ঘুমিয়ে।
এমনকি তিনি কারাগারে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপও ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি বিএনপি অভিযোগ করে বলে, সরকার রানাকে জেলে জামাই আদরে রেখেছে। কিন্তু এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।স্মরণকালের ভয়াবহ এ ঘটানায় সাভার থানায় দায়ের করা পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
প্রকাশ, রানা প্লাজা ঝুঁকিপূর্ন থাকা সত্ত্বেও ভবনটি ঊন্মুক্ত রাখায় গত ২৪ এপ্রিল সকালে ধসে পড়ে ওই ৯ তলা ভবন। ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে প্রায় সাড়ে এগার’শ মানুষ নির্মমভাবে প্রাণ হারায়। আহত হয় দুই হাজারেরও বেশি। এমনকি উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে নিহত হন এক স্বেচ্ছাসেবী এবং গুরুতর আহত হন এক সেনা কর্মকর্তা। এ ঘটনার তিনদিন পর যশোরের বেনাপোল থেকে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের রাখা হয়। এরপর কাশিমপুর কারগারে স্থানান্তর করা হয়।