বড়লেখায় ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষন, অতপর বিয়ে
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষনের পর প্রতারক প্রেমিকের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গন্যমান্যরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মাইজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে আলী হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হলে আলী হোসেন তার ২ সহযোগীকে নিয়ে ছাত্রীটিকে অপহরণ করে। পরে তাকে মাইজগ্রাম এলাকার একটি বাড়িতে রেখে সহযোগীদের নিয়ে ধর্ষন করে এবং বুধবার রাতে মেয়েটির বাড়ির কাছে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়।
খবর পেয়ে রাতে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা হাসপাতালে ভর্তি করে ও পুলিশে খবর দেয়। বড়লেখা থানাপুলিশ মেয়ের পিতার মৌখিক অভিযোগে আলী হোসেনকে আটক করে ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইজগাঁও এলাকার ইউপি সদস্য সলিম উদ্দিন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা আটক ধর্ষক ও ছাত্রীকে আপোষের মাধ্যমে এলাকায় নিয়ে যায়। পরে তাদের মধ্যে বিয়ে দিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য সলিম জানান, ছাত্রীটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শক্ত কাবিননামার মাধ্যমে ধর্ষকের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আবুল হাশেম জানান, এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ না দেয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। উভয় পক্ষ সমঝোতা করে ধর্ষককে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন।