বড়লেখায় আবারও মাদ্রাসা শিক্ষক বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষার্থীকে
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ একদিনের ব্যবধানে তুচছ ঘটনার জের ধরে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আরেক মৌলভী শিক্ষক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন শিক্ষারর্থীকে । গত মঙ্গলবার (১৫এপ্রিল) সকালে বড়লেখা উপজেলার ছিকামহল আল আজহার দারুল কোরআন মাদ্রাসার মাওলানা দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিঠ করেন। এ ঘটনার একদিন পর বুধবার (১৬ এপ্রিল) পুনরায় শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের নবম শ্রেনী ছাত্র তারেক আজিজ শাহানকে স্কুলের মৌলভী শিক্ষক আব্দুল মতিন বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার (১৬এপ্রিল) শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের নবম শ্রেনী ছাত্র তারেক আজিজ শাহানকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন ইসলাম ধর্মের মৌলভী শিক্ষক আব্দুল মতিন। আহত তারেক আজিজ বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্ঠা চলছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ছাত্র ও অভিভভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বড়লেখা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর নাথ বৃহস্পতিবার জানান, শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিঠিয়ে আহত করার ঘটনাটি তিনি বৃহস্পতিবার (১৭এপ্রিল) শুনেছেন। খোজ খবর নিয়ে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্রেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ছিকামহল গ্রামে আল আজহার দারুল কোরআন মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহাদ আমিন (১১) ও রাকিবুল হাসান(১০) সকালে শ্রেণী কক্ষে পড়াশুনার ফাঁকে অসাবধান বশত একজন আরেক জনের ওপর পড়ে যায়। এ ঘটনার জের ধরে মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বেত দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে ঐ দুই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাদেরকে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফাহাদ ও রাকিবুল জানান, আমিনুল হুজুর শুধু বেত দিয়ে নয় প্রায়ই ছাত্রদের কিল ঘুষি ও লাথি মারে থাকেন, অনেকে ভয়ে মুখ খুলেন না। শিক্ষার্থী ফাহাদ আমিন বড়লেখা উপজেলার কলাজুরা গ্রামের আব্দুল বাছিতের পুত্র এবং রাকিবুল হাসান ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার আলাল উদ্দিনের পুত্র। আহত ছাত্র ফাহাদ আমিনের মামা সোহেল আহমদ জানান, মাদ্রাসা কমিটির সম্পাদক আহমদ মর্তুজাসহ পঞ্চায়েতের লোকজন ঘটনাটি মিটমাট করে দিবেন বলে চিকিৎসা শেষ করার আগেই শিশু দুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য করেছেন। মাদ্রাসা কমিটির সম্পাদক আহমদ মর্তুজা জানান, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে। এ ব্যাপারে মাওলানান আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।