নওয়াজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট পাকিস্তান

nowajসুরমা টাইমস ইন্টারন্যাশনালঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সরকারের পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশটির ৫৫ শতাংশ মানুষ। সামগ্রিক পারফরম্যান্সেও বর্তমান সরকার ৫৯% উন্নয়ন করেছে। খবর দা ডন ও হিন্দু’র। পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় জরিপকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ পাকিস্তানের একটি জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ১১ মাস আগে সংকটাপন্ন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর নওয়াজ শরীফের জন্য এটা খুশির সংবাদই বটে। গ্যালোপ পাকিস্তানের বার্ষিক ‘পাবলিক পালস্ রিপোর্ট ২০১৪’ জরিপে দেখা যায় যে এক বছর আগের পিপিপি-জারদারি সরকারের চেয়ে পিএমএল-নওয়াজ সরকারের সফলতা অনেক বেশি।
দেশজুড়ে পরিচালিত এ জরিপে গ্রাম ও শহর দু’জায়গা থেকেই মতামত নেয়া হয়। জরিপে ২,৫৯৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারী থেকে মতামত নেয়া হয়, নেয়া হয় মুখোমুখি সাক্ষাৎকার। মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয় ৬ থেকে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে। ছয়টি প্রধান সূচকে এসব মতামত নেয়া হয়। এর মধ্যে হচ্ছে পাক-ভারত সম্পর্ক, সামগ্রিক পররাষ্ট্রনীতি, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। বর্তমান পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন সরকার এসব সূচকে তুলনামূলক বেশ ভালো কাজ করেছে।
অর্থনীতির ক্ষেত্রে ৪৮ % ইতিবাচক মত পড়েছে সরকারের পারফরম্যান্সে। পাক-ভারত সম্পর্কে এটা ২২%, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ৩৩%, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে ৩১%, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ৩৬% এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ২০% ইতিবাচক উন্নয়ন ঘটেছে। আগের সরকারের চেয়ে এ চিত্রটা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। বেশিরভাগ সূচকেই নওয়াজ শরীফ সরকার সবুজ কার্ড পেলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে লাল কার্ড পেয়েছে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি, সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে লাল কার্ড পেয়েছে।
তবে এ লাল কার্ড আগের পিপিপি সরকারের মত ভয়াবহ নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লাল কার্ড পেলেও সামগ্রিকভাবে এই সরকারকে সবুজ কার্ড দিয়েছে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা। সরকারের অনুকূলে এখন জনসমর্থন ৫৫% এবং বিপরীতে এ হার ৪০%। -এক বছর আগে পিপিপির সরকারের অনুকূলে সমর্থন ছিল মাত্র ২৭% এবং বিপক্ষে মতামত দিয়েছিল ৭১%। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েও মতামত নেয়া হয়। সশস্ত্র বাহিনীর উপর নেট সমর্থন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯%, সুপ্রিম কোর্টের উপর এ সমর্থন ২৭% এবং সংসদের উপর সমর্থন বেড়েছে ৮%।- তবে সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো নেতিবাচক রেটিংস পেয়েছে- বিশেষ করে পুলিশ, নিম্ন আদালত ও রাজনৈতিক দলগুলো।