ছাতকে সহকারি শিক্ষিকার প্রেমের প্রতারনা : বলির পাঠা প্রধান শিক্ষক

slutছাতক থেকে ফকির হাসানঃ ফ্রান্স থেকে প্রেমিকার প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে স্কুল প্রধানের নিকট প্রেমের ডকুমেন্ট প্রেরণ করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষিকার কথিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশেষে জেল হল প্রধান শিক্ষকের। গতকাল রোববার দুপুরে শিক্ষক মারফত আলীকে ডেকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট আইনুর আক্তার পান্নার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে চার মাসের জেল ও ১০হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এ ঘটনায় শিক্ষক মহলের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। জানা যায়, উপজেলার সৈদেরগাও ইউনিয়নের পীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা মাহমুদা সিদ্দিকা পান্নার প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার নিজ বাড়ি দিরাইয়ের ফ্রান্স প্রবাসী আফছর উদ্দিনের সাথে। সম্প্রতি এ শিক্ষিকা উপজেলার জনৈক এক শিক্ষকের প্রেমে পড়ে সাবেক প্রেমিক প্রবাসী আফছর উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। প্রেমিকা কর্তৃক প্রতারণার শিকার হয়ে এর প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি প্রেমিক আফছর উদ্দিন স্কুল প্রধানের কাছে অন্যের মাধ্যমে অন্তরঙ্গ মূহুর্তের কিছু ছবি ও বিভিন্ন সময়ে প্রেমিকাকে প্রেরিত অর্থের কিছু ডকুমেন্টস প্রেরণ করেন। ফলে এসব ডকুমেন্ট অন্যান্য শিক্ষকদের সামনে খোলার কারণে প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সহকারি শিক্ষিকা পান্না । এ বিষয়ে তিনি গত বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করলে সহকারি শিক্ষা অফিসার বাবর শনিবার স্কুলে এসে বিষয়টি তদন্ত করেন। রোববার সকালে শিক্ষিকা পান্না ও প্রধান শিক্ষক মারফত আলীকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ডেকে নিয়ে বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি করা হয়। এসময় শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা বাবর, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুজ্জামান শিলুও উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে কিছু কু-চক্রি মহলের ইন্ধনে শিক্ষিকা পান্না মিমাংশিত বিষয়টি ফের ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে ইউএনও আইনুর আক্তার পান্না রহস্যজনকভাবে সহকারি শিক্ষিকাকে উত্যক্ত করার কথিত অভিযোগের অপরাধ দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক মারফত আলীকে ডেকে এনে ৪ মাসের জেল ও ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন। প্রধান শিক্ষক মারফত আলী উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের সেওতর পাড়া গ্রামের ওয়ারিছ আলীর পুত্র। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মারফত আলী সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষিকা পান্নার ষড়যন্ত্রের শিকার উল্লেখ করে বলেন, আমাকে দন্ড দিয়ে আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। থানার অফিসার্স ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।