শিক্ষাকর্মকর্তা বলে কথা

কামাল হোসেন, তাহিরপুরঃ তাহিরপুরে শিক্ষাকর্মকর্তা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রাথমিকের সরকারী পাঠ্যবই কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে সত্যতা আড়ালে গোপনে তদন্ত। বই বিক্রির বিষয়ে অভিযোগকারীকে না জানিয়ে ক,জন শিক্ষককে শিক্ষা অফিসে ডেকে এনে সংগোপনে তদন্ত করেছেন উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সেকশন-২ মিরপুর ঢাকা ইফতেখার হোসেন ভুইয়া।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ,তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা কামরুজ্জামান উজান তাহিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গুডাউন থেকে বইয়ের মোড়ক ছিড়ে ৩শ মন বই ১৫ টাকা কেজি দরে কালো বাজারে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় উজান তাহিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবক বাবরুল হাসান বাবলু বিগত ১৪-১২-১২ ইং তারিখে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং এ সংক্রান্ত্র বিষয়ে বিগত ১৬-১২-১২ ইং বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয় এরই সুত্র ধরে বিগত ১৯-১২-১২ ইং তারিখে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে কামরুজ্জামানের প্রত্যাহার ও অনিয়ম দূর্নিতীর বিচার চেয়ে মানববন্ধ হয়। মানববন্ধন শেষে দু,শতাধিক ব্যাক্তি স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ও সংশি¬ষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে তাহার অনুলিপি প্রেরন করা হয়। এ প্রেক্ষিতে ঐ দিনই কামরুজ্জামাকে সিলেট ডিডিই অফিসে প্রত্যাহার করা হয় এবং এর কদিনের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষার সিলেট বিভাগীয় উপরিচালক আব্দুর রহিম ঘটনা তদন্তে সরজমিনে আসেন এবং ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫-৪-১৪ ইং তারিখে শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের কালোবাজারে বই বিক্রির বিষয়ে অভিযোগকারী ছাত্র অভিভাবক বাবরুল হাসান বাবলু ও স্বাক্ষীদের না জানিয়ে শিক্ষাকর্মকর্তা কামরুজ্জামানের আস্থাভাজন শিক্ষক মন্টু সরকার, হাবিবুর রহমান,ইকবাল হোসেন,শামীম আহমেদ, নুরুলহক, ইউসুফ আহমেদ,আবু মোহাম্মদ সহ কজন শিক্ষককে শিক্ষা অফিসে ডেকে এনে সংগোপনে তদন্ত করেন উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সেকশন-২ মিরপুর ঢাকা ইফতেখার হোসেন ভুইয়া।
এ বিষয়ে সাদেরখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মোহাম্মদ,কুকুরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন,লেদারবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আহমেদ বলেন, ঘটনার অভিযোগকারী কে আমরা তা জানিনা। আমাদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষাকর্মকর্তা খুরশিদ আলম সংবাদ দিয়েছিলেন শিক্ষা অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য এসে শুনলাম এ বিষয়ে তদন্তের জন্য স্বাক্ষ্য দিতে আমাদের ডাকা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমাকান্ত দেবনাথ বলেন, তদন্তের বিষয়ে আমাকে কোন প্রকার চিটি পত্র কিংবা মৌখিকভাবেও বলা হয়নি।
তাহিরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা খুরশিদ আলম বলেন আমাকে উধ্বর্তন কর্তপক্ষ যে ভাবে বলেছে আমি সেভাবে শিক্ষকদের জানিয়েছি।
উলে¬খিত বিষয়ে তাহিরপুর তদন্তে আসা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইফতেখার হোসেন ভুইয়া বলেন,আমি তাহিরপুরের শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলেছিলাম ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য জানিয়ে দিতে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সরকারী কোন তদন্তে আসলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো প্রয়োজন কিন্তু আমাকে জানানো হয় নি।