সিলেট চেম্বার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে কাস্টম্স, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট’র মতবিনিময়

VAT Programগত ০৯ এপ্রিল ২০১৪ইং বুধবার সকাল ১১:০০ ঘটিকায় চেম্বার কনফারেন্স হলে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে কাস্টম্স, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট এর সম্মানিত কমিশনার মহোদয়ের সাথে সিলেটের সর্ব¯—ে রর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের একমতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), সিলেট জনাব এ জেড এম নূরুল হক। সভায় বক্তারা আমদানী শুল্ক, ভ্যাট ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরাজমান বিভিনড়ব সমস্যাবলী নিয়ে আলোচনা করেন। তারা ভ্যাটের পরিমান বৃদ্ধি না করে এর পরিধি বৃদ্ধি করার আহবান জানান। তারা বলেন, যেসব ব্যবসায়ী স্বপ্রণোদিত হয়ে ভ্যাট প্রদান করেন। তাদের উপর ভ্যাটের মাত্রা বৃদ্ধি না করে যারা সরকারের ভ্যাট আদায় না করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদেরকে ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসা উচিৎ। তারা ভ্যাট কর্মকর্তাদের অশোভন আচরণ ও ব্যবসায়ীদেরকে অহেতুক হয়রানীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কমিশনার মহোদয়কে এ ব্যাপারে দৃষ্টি রাখার আহবান জানান। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্যাকেজ ভ্যাটের পরিমান বৃদ্ধি করায় অনেক ব্যবসায়ী ভ্যাট আদায় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তারা এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। ভোগ্যপণ্য পরিবেশকগণ বলেন, তারা বিভিনড়ব কোম্পানীর পণ্য কোম্পানীর নির্ধারিত মূল্যে পরিবেশন করে তার কমিশন প্রাপ্ত হন, তারা কোন মূল্য সংযোজন করেননা, কিন্তু তাদেরকেও সরকারের ভ্যাট আদায় করতে হয়, তারা ভোগ্যপণ্য পরিবেশকগণের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় না করে উৎপাদন পর্যায়ে কোম্পানীর কাছ থেকে উৎসে কর আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। সিলেট চেম্বারের প্রশাসক জনাব এ জেড এম নূরুল হক বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাদেরকে যেন কোনভাবে অসম্মান বা হয়রানী করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি কমিশনার মহোদয়কে অনুরোধ জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাস্টম্স, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট এর কমিশনার জনাব এ কে এম নুরুজ্জামান বলেন, সিলেটের ব্যবসায়ীরা ভ্যাট, ট্যাক্স প্রদানে অত্যন্ত আš—ি রক। ভ্যাট কর্মকর্তাদের সাথে ব্যবসায়ীদের কয়েকটি বিচ্ছিনড়ব ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এরকম ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবেনা বলে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কিছু কিছু সমস্যা আছে যেগুলো নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিনড়ব আইন সংশোধন করা হলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। তিনি ব্যবসায়ীদের যে সমস্যাগুলো তার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব সেসব সমস্যা সমাধানে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি জনাব ফারুক আহমদ মিছবাহ্, প্রাক্তন সিনিয়র সহ সভাপতি জনাব আব্দুল হানড়বান চৌধুরী, জনাব শাহ্ আলম, জনাব মোঃ
হিজকিল গুলজার, জনাব নাসিম হোসেইন, জনাব জিয়াউল হক, প্রাক্তন পরিচালক জনাব মঈন উদ্দিন চৌধুরী, জনাব এম এ মানড়বান, জনাব মোঃ আবুল ফজল, প্রাক্তন ভ্যাট সাব কমিটির আহবায়ক জনাব মোঃ লায়েছ উদ্দিন, সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্র“পের সভাপতি জনাব ফালাহ্ উদ্দিন আলী আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা আলহাজ্ব শেখ মোঃ মকন মিয়া, জনাব মতচ্ছির আলী, আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, জনাব আব্দুছ ছালাম, জনাব মাহি উদ্দিন সেলিম, জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন ও জনাব মুরাদ আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবগারী ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার মোঃ সেলিম রেজা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব রুমায়েল আহমদ চৌধুরী, জনাব শফিকুল হক বেলাল, জনাব মোঃ বশিরুল হক, জনাব বদরুল আলম, জনাব আমিরুজ্জামান জোয়াহির, জনাব আজিজুর রহমান সুন্দর, জনাব হুরায়রা ইফতার হোসেন, জনাব আব্দুর রহিম, জনাব শাহেদ আহমদ সহ আরো অনেক।