কানাইঘাটে ৪ জামায়াত নেতা কতৃক অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ নিয়ে এলাকায় চলছে গণস্বাক্ষর : নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
কানাইঘাট সংবাদদাতা: দেশের নৈতিকতা সম্পন্ন রাজনীতির উজ্জ্বল আদর্শ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলায় এই সংগঠনটির গুটিকয়েক নেতা কর্তৃক সংগঠনের নিরীহ নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনার জন্য জমাকৃত অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলায় চলছে গণস্বাক্ষর। জামায়াতের মত একটি নৈতিকতা সম্পন্ন ইসলামী আন্দোলনের কয়েক নেতার এমন দুর্নীতিতে উপজেলার সর্বত্র জনগনের মাঝে জামায়াত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনার সৃষ্টি হচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসনে কানাইঘাট উপজেলার সবচেয়ে মজলুম সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এর প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর মামলা পরিচালনাকারী উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল করিম, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল মালিক, সেক্রেটারী মাওলানা কামাল উদ্দিন, এসি: সেক্রেটারী মাওলানা শরীফ আহমদ সহ কয়েকজন নেতা মিলে এসব মামলার লক্ষ লক্ষ টাকা নিজেদের পকেটে পুরে নিয়েছেন। এ ঘটনায় ঐসব জামায়াত নেতারা যে কোন সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হতে পারেন। জেলা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এখনি এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিতে পারলে কানাইঘাটে সংগঠনের ইমেজ ধরে রাখাতো সম্ভবই হবে না বরং সংগঠনকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বৃহত্তর সিলেটে জামায়াতের শক্তঘাটি বলে চিহ্ণিত কানাইঘাটে জামায়াত-শিবিরের মনোবল ভেঙ্গে দিতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বিভিন্ন সময়ে উপজেলার ২শতাধিক নিরীহ নেতাকর্মী মাসের পর মাস কারা নির্যাতনের শিকার হন। আর এই সুযোগে জেলার একজন জামায়াত নেতার যোগসাজসে উপজেলা আমীর সহ ৩ নেতা মিলে নিরীহ নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনার জন্য জমাকৃত অর্ধলক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করে ফেলেন। বিদেশ থেকের সংগঠনের নেতাকর্মীদের এমন দুরাবস্থায় লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠান অনেক সাবেক দায়িত্বশীল। কিন্তু ঐ জামায়াত নেতারা এসব টাকা মামলার কাজে ব্যয় না করে নিজেদের পকেটে পুরে নিয়েছেন। নেতাকর্মীরা জেলা পর্যায়ে অনেক অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা দুর্নীতিতে আরো বেশী অগ্রসর হচ্ছে। এমন অবস্থায় সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐসমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর কর্মসুচী পালন করে যাচ্ছেন। খুব শীঘ্রই এসব গণস্বাক্ষরের কপি সিলেট, জেলা, মহানগর, বিভাগীয় আঞ্চলিক এবং কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতাদের কাছে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন একাধিক সুত্র।