ব্যাচেলর প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে ভারত?

india_electionসুরমা টাইমস ইন্টারন্যাশনালঃ ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্যাচেলার গ্রুপ। তাদেরই কেউ হবেন ভারতের আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, বিজেপির নরেন্দ্র মোদী, ডিএমকে প্রধান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা, তৃণমূল নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, দলিত নেত্রী মায়াবতী এবং উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টানায়ক তারা কেউই বিয়ে করেননি। মোদীর নাম বেশি উচ্চারিত হলেও সবার নামই উচ্চারিত হচ্ছে ভারতের সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। অর্থাৎ ভারতবাসী একজন ব্যাচেলার প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছেন। এর আগে অটল বিহারী বাজপেয়ী ব্যাচেলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
কংগ্রেস ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর তাও একটি পরিবার আছে। তা হচ্ছে ভারতের বিখ্যাত গান্ধী পরিবার। বাকি অন্যদের তেমন পরিবার নেই। ভারতের নির্বাচনে এমন ব্যাচেলারদের দাপট অতীতে কখনো দেখা যায়নি। কংগ্রেস ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর বয়স থাকলেও বাকিদের বিয়ের বয়স নেই বললেই চলে। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘মনের মত মেয়ে পেলেই বিয়ে করব।’
এর আগে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিয়ের পিঁড়িতে বসার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।’
২০০৪ সালে তিনি যখন প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তখন তার এক বান্ধবী ছিল। নাম ভেরোনিকা। বাড়ি স্পেনে। পেশায় আর্কিটেকট। কেমব্রিজে পড়ার সময় তাদের বন্ধুত্ব হয়। ২০০৪ সালের পর রাহুল রাজনীতিতে দারুণভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের দিকে তাকানোর খুব একটা সুযোগ হয়নি তার। রাহুলের বয়স এখন ৪৪।
বিজেপি প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী তার জীবন বৃত্তান্তে সব সময় বৈবাহিক স্তম্ভটি ফাঁকা রাখেন। তবে দরিদ্র বাবা ছোট বেলায় যশোদাবেন চিমনলার নামে এক বালিকার সাথে তার বাল্য বিয়ে দিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে ঐ নারী মোদীকে স্বামী বলে দাবি করলেও মোদী উচ্চবাচ্য করেননি। অভাবী পরিবারের সন্তান নরেন্দ্র মোদী ছোটবেলায় যোগ দেন রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘে (আরএসএস)। তখনকার নিয়ম অনুসারে আরএসএস’র সদস্য হলে ব্রহ্মাচার্য পালন করতে হত।
এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কোনো দলই যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না তা বিভিন্ন জরিপে প্রকাশ পেয়েছে। সেক্ষেত্রে কুমারী নেত্রী মমতা ব্যানার্জি, জয়ললিতা ও মায়াবদী বিকল্প হিসাবে এসে যেতে পারেন বলে দিল্লীর রাজনৈতিক মহল মনে করেন।