এমসি কলেজের আইসিটি বিভাগে ফরম পূরণে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১১ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের ফরম পূরণ কার্যক্রম গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হযেছে। তাই এমসি কলেজের আইসিটি বিভাগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজ সুত্রে জানা যায় আইসিটি বিভাগে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাই প্রতি শিক্ষার্থী থেকে শুধু আইসিটি খাতে বেতন বাবদ আদায় করা হচ্ছে ২৪০০ টাকা। এভাবে ৭০০ শিক্ষার্থী কাছ থেকে আইসিটি বেতন বাবদ আদায় করা হচ্ছে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হয়েছে প্রতি শিক্ষার্থী কাছ থেক মাসিক বেতন বাবদ ২০০ টাকার উপরে নেওয়া যাবে না। এমন কি ২০০ টাকা নির্ধারনের ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রী সংখ্যাটি বিবেচনায় রাখতে হবে।শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, কলেজে এর আগে এভাবে কোন টাকা নেওয়া হত না। এবার এই প্রথম আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। শুধু এখানে শেষ নয়,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিপত্র মতে আইসিটি ফি ৭০০ টাকা এবং ব্যবহারীক কেন্দ্র ফি ৫০ টাকা সহ ৭৫০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও কলেজ কর্তপক্ষ আদায় করছে সেই স্থলে ৮৫০ টাকা। যা অতিরিক্ত ন্ওেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। যার কোন যৌক্তিক ভিক্তি নেই। তাই এই নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষোব্ধ। এছাড়া বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য সর্ব ক্ষেত্রে তওব প্রযুক্তি চালুর যে প্রায়স নিয়েছে তা এমসি কলেজের অধ্যক্ষ বাণিজ্যক ভাবে ব্যবহার করছেন। কেননা মাষ্টার্স শেষ পর্বের ফরম পূরণ কার্যক্রমে তিনি শিক্ষার্থী উপর অনলাইন ফি ৫০ টাকা ধ্যার্য করেছেন। তাতে করে প্রায় ১৫ টি বিভাগ থেকে প্রায় ২০০০ হাজার শিক্ষার্থী কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা নিচ্ছেন । যা ৫ ভাগের ১ ভাগ ম্যানুইলে খরচ হওয়ার কথা নয়্ এ ব্যাপারেও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই অনাকাঙিক্ষত অর্থ আদায়ের আলামত দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ অফিস ঘেরাও করে। এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি জানতে চায়। অধ্যক্ষ তাদেরকে কোন সদুওর দিতে পারেন নী। বরং তিনি ছাত্রছাত্রী দেরকে পরে এসে দেখা করার কথা বলেন। তাছাড়া এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সাংবাদিককের সাথে শিষ্টাচার বহিভূর্ত ও আপক্তিকর ভাষায় কথা বলেন। যা এমসি কলেজ অধ্যক্ষ পদের সাথে একে বারে ব্যমানান। এবং তিনি অধ্যক্স হিসাবে কলেজে যোগদান করার পর থেকে এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীটের একের পর এক ন্যাক্কর জনক অধ্যায় সূচনা হয়ে চলছে। যা বিভিন্ন সময়ের পত্র পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে। এমনকী অধ্যক্ষ মিডিয়া কর্মীদেরকে ব্যাক্তিগত ভাবে ম্যানেইজ করার জন্য অপয় প্রয়াস চালাতে পিছপা হননী। গতকাল মঙ্গলবার ঘটনার সময় সাংবাদিক কে ব্যাক্তিগত ভাবে ম্যানেইজ করার অপয় প্রায়স চালিয়েছেন। এবং তার সাথে একান্ত দেখা করার আমন্ত্রন জানিয়ে ছিলেন। এমসি তে ৩৩ বছর কাঠানোর পর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ অধ্যক্ষ অপসরে যাচ্ছেন।এই কলেজে তিনি অধ্যক্ষ হিসাবে থাকাকালীন সময় তার বিরুদ্ধে ক্ষমতা, অবব্যহার,সেচ্চাচারিতা ও লক্ষ লক্ষ টাকা আর্থিক অনিয়ম দুর্ণীতির বিভিন্ন অভিযোগ বিভিন্ন প্রত্রিকায় ছাপানো হয়েছে।