সাঈদী-নিজামী ও জামাতের পক্ষে ওয়াজ না করায়…
লন্ডন প্রবাসী শিবির নেতা কর্তৃক মসজিদের খতিব লাঞ্চিত নবীগঞ্জের জিয়াপুর নতুন বাজারে এ নিয়ে টানটান উত্তেজনা
নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধের বিরোধীতাকারী ও মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী ফাসিঁর আসামী মাওলানা নিজামী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাইদী সহ জামায়াত ইসলামের পক্ষে কথা না বলায় নবীগঞ্জের দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর নতুন বাজার জামে মসজিদের খতিবকে লাঞ্চিত করেছে জামাত শিবির নেতা ও লন্ডন প্রবাসী রুহেল আহমদ নামের এক ব্যক্তি ও তার লোকেরা। এ ঘটনায় মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।এ ঘটনায় মসজিদের মুসল্লি¬রা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
জানাযায়, উপজেলার ওই ইউনিয়নের জিয়াপুর নতুন বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা ছালেহ আহমদ ওয়াইসি দীর্ঘদিন ধরে ওই বাজারের জামে মসজিদের খতিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইদানিং ওই মসজিদ প্রতিষ্টাতা সদস্য মৃত শাহজাহান মিয়ার পুত্র জামাত শিবির নেতা ও লন্ডন প্রবাসী রুহেল আহমদ ওই খতিবকে প্ররোচনা দেয় সাইদী নিজামী ও জামাত ইসলামের পক্ষে মসজিদে ওয়াজ বয়ান করার জন্য। তার কথা মতো তিনি ওয়াজ বয়ান না করায় বা যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন না করায় গত শুক্রবার পবিত্র কোরআন তাফসিরের সময় ওই মুফতিকে লাঞ্চিত করে। এ সময় তাকে সমর্থন করে তার সহযোগী জিল্লুর রহমান জিলু নামের আরেক ব্যক্তি। এ সময় অন্যান্য মুসল্লি¬দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,মোঃ আবু বক্কর, ফারুক মিয়া, আব্দুস সালাম, মসজিদ প্রতিষ্টাতার উত্তরসূরী হাফিজুর রহমান, মোঃ শাহ আলম, ময়না মিয়া, ছাদিক মিয়া, আবুল মিয়া সহ অসংখ্য মুসল্লি¬গণ। লন্ডন প্রবাসী জামাত শিবির নেতা মসজিদ দাতা প্রতিষ্টাতা পরিবারের উত্তরসূরী ও প্রভাবশালী হওয়ায় ওই খতিবকে অন্যায়ভাবে চাকুরীচ্যুত করা হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে মসজিদের খতিব মুফতী মাওলানা ছালেহ আহমদ ওয়াইসি বলেন, আমার সাথে যে আচরন করেছেন ওই লন্ডন প্রবাসী ও শিবির নেতা এর কারন হলো তিনি দীঘদিন ধরে আমাকে অনুরোধ করে প্ররোচনা দিচ্ছিলেন যে, যুদ্ধাপরাধী নিজামী ও সাঈদী সহ জামাত ইসলামী ওই নেতাদের পক্ষে পবিত্র মসজিদে ওয়াজ বয়ানের সময় তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য। আমি তার কথা না শুনায় কোন কারন ছাড়াই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মসজিদের ভিতরেই আমার সাথে অশুভ আচরন করেন। এই ঘটনা নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি না করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকিও দিচ্ছেন। আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।