আ.লীগ জঙ্গিবাদের আশ্রয়দাতা : খালেদা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দেয়। মদদ দেয়। প্রশ্রয় দেয়। তারা সব সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে। সোমবার রাজধানীর গুলশানে খুলনা ও বরিশালের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় লোকদের প্রশাসনে পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আর ভাল মেধাবী অফিসারদের ওএসডি করা হয়েছে। জোর করে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি। তারা মানুষের বাড়ি ঘর দখল করছে। হামলা-মামলা করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচারকদের মামলার বিষয়ে আগেই বলে দেয়া হয়। আর যেসব বিচারক মামলার মেরিট দেখে বিচার করে তাদেরকে অপসারণের জন্য নতুন আইন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার যে অপরাধ করেছে তার জন্য আমাদের কিছু করতে হবে না, ক্ষমতা থেকে সরলে জনগণই তাদের গণধোলাই দেবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আদালত, সংসদ, কেবিনেট যেখান থেকেই দায় মুক্তি নেয়া হোক না কেন। জনগণ তাদের ঠিকই সাজা দেবে।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রুপিং বাদ দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে সরকারকে পরবর্তী ১০ মাস সময় দিয়েছি। এরপর আন্দোলন কর্মসূচি দেব। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের ২০ দল আছে। আরো অনেক দল জোটে যোগ দেয়ার জন্য যোগাযোগ করছে। আওয়ামী লীগ একঘরে হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, এখন থেকে যারা দলে সাহসী ভূমিকা রাখবে তাদের নেতৃত্বে কমিটি দেয়া হবে। ভাইয়া গ্রুপের পকেট কমিটি হতে দেয়া হবে না। কারণ সামনে সরকার গঠন করতে হবে। সাইবকে প্রস্তুত থাকবে হবে।
উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উপজেলা চোয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেয়া হবে। বর্তমান এমপিরা অবৈধ কিন্তু উপজেলা চোয়ারম্যানরা নির্বাচিত।
নির্বাচন কমিশন বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচন কমিশন অথর্ব-মেরুদণ্ডহীন। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধিনেই নির্বাচন করতে হবে। মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আলফাত হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।