কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজে ভাঙ্গচুর ও শিক্ষকদের লাঞ্চিতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে গত শনিবার কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে ও কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ একাডেমিক ভবনে ব্যাপক ভাংচুর এবং ৫জন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিতের ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় কলেজ স্টাফ কাউন্সিল ও গভর্নিং বডির পৃথক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় কলেজ স্টাফ কাউন্সিলের সভায় সকল শিক্ষকবৃন্দের উপস্থিতিতে গত শনিবারের ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ একাডেমিক ভবনে ব্যাপক ভাঙ্গচুর এবং শিক্ষক লাঞ্চিতকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরণের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া স্টাফ কাউন্সিলের সভায় কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবী জানান। এদিকে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে একই দিনে কলেজ গভর্নিং বডির এক জরুরী সভা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের দাতা সদস্য আব্দুল কাহির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অধিকাংশ সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় কলেজে হামলা, ভাঙ্গচুর ও শিক্ষকদের লাঞ্চিতের ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সদস্য অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি আগামী ৩০ আগষ্ট পরবর্তী কলেজ গভর্নিং বডির সভায় প্রতিবেদন পেশ করবেন। এছাড়া সভায় শনিবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় সাধারণ ডায়রী করার জন্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল আলম মামুনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত শনিবার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় বহিরাগত অস্ত্রধারী ক্যাডাররা কলেজে ব্যাপাক ভাঙ্গচুর তান্ডব সৃষ্টি করে। ভাঙ্গচুরের বাঁধা দিলে লাঞ্চিত করা হয় ৫ জন শিক্ষককে। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সর্বত্র বিরোপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত যে, পূর্বে একাধিকবার কথায় কথায় কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও কখনো কলেজের একাডেমিক ভবন ভাঙ্গচুর ও শিক্ষকদের লাঞ্চিত করা হয়নি।