লন্ডনে মাহবুব আলী খান স্মরণ সভা

imageলন্ডন সংবাদদাতাঃ সিলেট জেলার অন্যতম কৃতি সন্তান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান এর ৩০ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে গত ৬ই আগাস্ট ২০১৪

রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান সৃতি সংসদ সিলেটের প্রতিষ্ঠাটা সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা এম এ মুকিত এর উদ্যোগে ইষ্ট সাসেক্সের সমুদ্র তীরবর্তী শহর বেক্সহিল এর সেন্টার এস্তিজ হলে এক আলোচনা সভা ও দুয়া মহফিল অনুস্তিত হয়।উক্ত স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন সিলেট জেলার অন্যতম কৃতি সন্তান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান যিনি একজন রাজনীতিবিদের ভূমিকা ও পালন করেছেন।তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন,একই সংগে তিনি বিভিন্ন
মন্ত্রনালয় পরিচালনা করেছেন।
দেশের সমুদ্রসিমা রক্ষা,সমুদ্রে জেগেওঠা দ্বীপের দখল রক্ষা,সমুদ্র এলাকায় জলদুসূ দমন,স্বাধিনতার পর বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বিশ্ব মানের আধুনিক ও যোগ পজুগি করতে এবং মন্ত্রী থাকা কালে সিলেট অঞ্চলের রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভাট নির্মাণ করে সরণীও হয়ে আছেন।
বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও সাসেক্স বিএনপি র সাধারন সম্পাদক এম এ মুকিতের সভাপতিত্তে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিথ ছিলেন
কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান,প্রধান অথিতি হিসেবে মাহিদুর রহমান বলেন মাহবুব আলী খান সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়ার সবুজ ও কৃষি আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে কাজ করেন,তিনি দেশের স্বাধীনতা সারবভুমত্ব রক্ষা সহ দেশের মানুষের জিবনমান উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লবে কাজ করেন, মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্তে ছিলেন।
উক্ত সভার আয়োজক এম এ মুকিত বলেন.মাহবুব আলী খান একজন রাজনৈতিক নেতা না হয়ে ও রাজনিতিকের ভূমিকা পালন করেছেন,ছুটে গিয়েছেন সাধারন মানুষের সেবা করতে, সিলেট জেলার প্রভুত উন্নয়ন সাধন করেছেন।তাঁর অবদান সিলেটবাসির কাছে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।যুগাযুগ মন্ত্রী থাকা কালে জনাব মাহবুব আলী খান সিলেট জেলার অনেক উন্নতি স্বাধান করেন,আর্ত মানবতার সেবায় তাঁর পরিবার এখনও কাজ করেজাছে,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিথ ছিলেন সাসেক্স বিএনপি র সভাপতি নুরুল আমিন, কাউন্সিলর হারুন মিয়া,কাউন্সিলর আলী হায়দার,সালেহ আহমদ চৌধুরী আলফু,গুলাম রব্বানি সুহেল,আবুল কালাম আজাদ,আকমল আলি,এছাড়াও সাসেক্সের বিশিষ্ট বাক্তিবরগ।
১৯৮৪ সালের ৬ই অগাস্ট তেজগাঁও বিমান বন্দরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ভুপাতিত হলে মাহবুব আলী খান তা পরিদর্শনে গিয়ে হৃত যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কুরআন থেকে তিলাওয়াত ও দুয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুলা আল মাহমুদ, তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সভা সমাপ্ত হয়।