জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের : বীজতলায় বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট পৌরসভার মহেষপুর নয়াতালুক গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক কৃষক পরিবারের দুই দাগে অবস্থিত ৫৩শতক জমির আমন ধানের বীজ বপন করা তলা কীটনাশক প্রয়োগ করে ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভূমির মৌরসী সূত্রে মালিক মহেষপুর নয়াতালুক গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর পুত্র কৃষক হাফিজ আব্দুর রহিম (৫৪) বাদী হয়ে আদালত ও কানাইঘাট থানায় একই গ্রামের মৃত হাজী ইরফান আলীর পুত্র আব্দুল খালিক (৬০) গংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, দলিল, রেকর্ড ও নামজারি সূত্রে সত্ত্ববান হয়ে হাফিজ আব্দুর রহিম গংরা নয়াতালুক মৌজায় দুটি দাগে অবস্থিত ৫৩শতক ফসলি জমি দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। ভূমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উক্ত ৫৩শতক জমি মালিকানা দাবী করে একই গ্রামের আব্দুল খালিক গংরা গত বছর আব্দুর রহিমের জমিতে তার রোপন করা করা ইরি ধান কেটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিম আব্দুল খালিক গংদের বিরুদ্ধে মামলা করলে কানাইঘাট থানা পুলিশ খালিক গংদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। হাফিজ আব্দুর রহিমের দখলে থাকা উক্ত ৫৩শতক জমি থেকে বেদখল করার জন্য গত ১৮জুন আব্দুর রহিম কর্তৃক ভূমিতে আমন ধানের বীজ বপন করা হালি চারা আব্দুল খালিক গংরা স্বশস্ত্র অবস্থায় হাল চাষের টিলার মেশিন দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে দেয়। এ ঘটনায় ১৯জুন ভূমির মালিক আব্দুর রহিম প্রতিপক্ষ আব্দুল খালেকসহ ৬জনের বিরুদ্ধে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে দরখাস্ত মামলা করেন। এরপর সম্প্রতি ৫৩শতক জমিতে আব্দুর রহিম হালি চারা রোপন করলে গত শনিবার ভোরে আব্দুল খালিক গংরা পুণরায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে আমন ধানের বীজতলাটি ধ্বংস করে দেয়। এতে অনুমানিক ১৫হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করে হালি চারা বিনষ্ট করার সর্বত্র দীক্ষার দিচ্ছেন গ্রামের মানুষ। গতকাল সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার সত্যতা পাওয়া যায়। আমন ধানের বীজতলা নষ্টের ঘটনায় কৃষক আব্দুর রহিম গতকাল রবিবার আব্দুল খালিক গংদের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।