দিশেহারা ধর্ষিতার ‘নগ্ন দৌড়’ : অতঃপর আত্মহত্যা
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ চাকরির খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ১৯ বছরের আদিবাসী তরুণী। চব্বিশ ঘণ্টা না ফুরোতেই ফিরে এল তাঁর মৃতদেহ। ময়নাতদন্তে প্রমাণ মিলল ধর্ষণের। ভারতের মধ্যপ্রদেশের ঘটনার জেরে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
গত সোমবার চাকরির সন্ধানে সাগর জেলার ডিন্ডোরি গ্রামের এক তরুণী ইন্দোরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। মাঝপথে বীণা গ্রামের কাছে তাঁর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। যুবতীকে নিগ্রহ করার পর ধর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে দিশেহারা তরুণী এর পর সাহায্য চেয়ে নগ্ন অবস্থায় গ্রামের পথ ধরে দৌড়তে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। শেষে খেতের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ৭০ ফিট উঁচু হাই টেনশন বিদ্যুত্বাহী টাওয়ারে উঠে পড়েন বিবস্ত্র যুবতী। এবার টনক নড়ে গ্রামবাসীর। টাওয়ার থেকে তাঁকে নেমে আসতে অনুরোধ করা হয়। চেষ্টা করা হয় তাঁকে উদ্ধার করার। কিন্তু তা উপেক্ষা করে টাওয়ার থেকে মরণঝাঁপ দেন নিগৃহীতা।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া একটি ব্যাগে মৃতার নামে বেশ কিছু মার্কশিট, তাঁর পোশাক ও সিকিউরিটি বেল্ট খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই তরুণীর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনাকে প্রথমে গুরুত্ব দিতে চায়নি স্থানীয় থানা। ধর্ষণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে জানানো হয়, মৃত তরুণী মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। সেই কারণেই টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
কিন্তু গোটা বিষয়টি বদলে যায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর আগে ওই আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তাঁর কপালে কামড়ের চিহ্ন ও পশ্চাদ্দেশে নখের আঁচড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। এ ছাড়া, উঁচু জায়গা থেকে পড়ার ফলে তাঁর পাঁজর গুঁড়িয়ে যায় ও বাঁ পায়ের হাড় ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী প্যানেলের প্রধান বলবীর ক্যাথোরিয়া। তবে ধর্ষণ কোনও এক জনের দ্বারা, না কি যৌথ ভাবে করা হয়েছিল তা জানতে মৃতার ভ্যাজাইনাল সোয়্যাব টেস্ট রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।