বিশ্বনাথে অপহরন মামলা নেয়নি পুলিশ : এমপি’র নির্দেশে নিখোঁজ যুবতী উদ্ধার

uddharসুরমা টাইমস ডেস্কঃ গত ১৫ জুন রাতে বাড়ীর পেছনে পুকুরে পানি আনতে গেলে বিশ্বনাথের তালিবপুর গ্রামের ইছুব আলীর ২২ বছরের যুবতী মেয়ে রেছনাকে জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায় বিশ্বনাথের ৬/৭ জন বখাটে। স্বজনরা থানায় অভিযোগ করতে গেলেও তার মামলা নেয়নি বিশ্বনাথ থানার পুলিশ। পরে বাধ্য হয়ে এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়রি করেন রেছনার পিতা ইছুব আলী। এর পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে মেয়েকে উদ্ধারের উড়ো খবর জানতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটনার পরদিন থেকে মেয়ের কোনো সন্ধান তারা পাননি। কে বা কারা থানায় রেছনার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে পুলিশকে জানায়। ফলে জিডির তদন্তেও আর এগোয়নি পুলিশ। এভাবেই চলে যায় ছয় দিন। শনিবার সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে রেছনা বেগমকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।
এমপি’র নির্দেশের সাথে সাথেই তৎপর হয় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই যুবতী রেছনা বেগমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। যদিও এতে পুশিশের ভূমিকা ছিল নগন্য। রবিবার ভোররাতে অপহরণকারীরা রোসনা বেগমকে স্থানান্তরের সময় এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দেন। দুপুরে পুলিশ অপহৃতা রেছনা বেগমকে তার পিতার কাছে হস্তান্তর করে।
রেছনা বেগমের পিতা ইছুব আলী জানান, ১৫ জুন রাতে তার মেয়ে বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে পানি আনতে গেলে একই গ্রামের কয়েকজন বখাটে জোরপূর্বক তার মেয়েকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়রি করেন ইছুব আলী। গত শনিবার বিষয়টি জানতে পেরে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া রেছনাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে বলেন। ভোররাতে পুলিশ রেছনাকে উদ্ধার করে সোমবারের মধ্যে এ ব্যাপারে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য গ্রামের মুরুব্বিদের দায়িত্ব দেয়।
এ ব্যাপারে উদ্ধারকৃত রোছনা বেগম বলেন, অপহরকরা তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে। তিনি এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি রফিকুল হোসেন জানান, বিষয়টি প্রেমঘটিত। রোববার রেছনাকে তার পিতামাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।