সিলেটে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষক সেই রাজা গ্রেফতার : আদালতে স্বীকারোক্তি
ডেস্ক রিপোর্টঃ শহরতলীর কুমারগাঁওয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নলেজ হোম একাডেমির শিক্ষক রাজা মিয়া। এ ঘটনায় আদালতে ২২ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ সিদ্দিকী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর রাজা মিয়াকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা রহিম আলী বাদী হয়ে জালালাবাদ নারী ও নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন জানান, আটক রাজা মিয়া হায়দরপুর খাঁলিগাও গ্রামের বাসিন্দা। তাকে সোমবার গ্রেফতার করে মঙ্গলবার কোর্টে চালান দেওয়া হয়। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ আবুল খায়ের জানান, স্কুল পরিচালনায় কমিটি জরুরি বৈঠক করে সোমবার রাতেই শিক্ষক রাজাকে বহিষ্কার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খালিগাঁও গ্রামের রহিম আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সোমবার সন্ধ্যায় তার ছোট ভাই তানজিবকে (৫) নিয়ে নার্গিস বেগম নামের এক শিক্ষিকার কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। নলেজ হোম একাডেমির সামনে দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় শিক্ষক রাজা মিয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে স্কুলের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
পরে স্কুলছাত্রী বাসায় গিয়ে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ লোকজন ওই শিক্ষককে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে তাকে না পেয়ে তার বাড়ি ও স্কুল ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এ সময় উত্তেজিত জনতা প্রায় এক ঘণ্টা সিলেট সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস শহীদ, এনাম মেম্বারসহ জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।