বালাগঞ্জে একটানা ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন : জন-জীবনে চরম ভোগান্তি
চুরি ডাকাতির আতংকে অনেকের ঘুম হারাম
এসএম হেলাল, বালাগঞ্জঃ ঝড় বৃষ্টি ও ৩৩ কেভি লাইনে সমস্যার কারণে একটানা ১৬ ঘন্টা অন্ধাকালে ছিলেন বালাগঞ্জবাসী। এতে করে উপজেলার সর্বত্র নিঝুম অন্ধকারে ছেয়ে যায়। শনিবার ভোর থেকে গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে এই অবস্থা। টানা প্রায় ১৬/২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কারণে হাজার হাজার মানুষের চরম ভুগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া চুরি ডাকাতির আতংকে অনেকেই আরামের ঘুম হারাম হয়ে যায়। এ ব্যাপারে জোনাল অফিসের অফিসিয়াল নাম্বারে বার বার ফোন দিলেও গ্রাহকের ফোন রিসিফ করা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘ ১৬ ঘন্টার পর বিদ্যুৎ সচল হলেও কিছুক্ষ পর পর বিদ্যুতের আসা যাওয়ার কারণে অনেকের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও অনেক স্থানে ঝড়, বৃষ্টির পড় লাইনম্যানদের মাধ্যমে লাইন চেক না করে সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে লাইন চালু করার চেষ্টা করেন। এতে বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারনে প্রতিদিন মানুষের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হয়। বিদ্যুতের পিক আওয়ারে যখন সরবরাহ পূর্ণ মাত্রায় থাকে তখন লাইন চেক করার নামে সংযোগ বন্ধ রেখে সমিতিকে লস গুনতে বাধ্য করেছেন।
আলাপকালে বালাগঞ্জের ব্যবসায়ি রজত দাস ভুলন জানান, ২৪ ঘন্টা থেকে আমরা বিদ্যুৎ বিহীন, আজ (রোববার) দুপুরে একবার বিদ্যুৎ কিছুক্ষনের জন্য বিদ্যুৎ এলেও সন্ধা পর্যন্ত প্রায় কত বার বিদ্যুৎ গেছে তা বলা অসম্ভব। এছাড়াও বর্ষা মৌসুম আসার সাথে সাথেই গন গন লোডসেডিংগের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
বালাগঞ্জের সুজন জানান, রাত দিন অবিরত ফোন করেও কারেন্টের কেউর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি, ২দিন পর কারেন্ট আইল কিন্তু কতবইল বাধে বাধে আরবার নাই। বাসায় আমার একটি টিভি ও মোবাইল চার্জারটার জ্বলি গেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বোয়ালজুর এলাকার এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী বলেন, কারেন্ট না থাকায় ২দিন ধরে রাতে ঘুম হয়না। ঘরে ডুকলেই বাহিরে নড়াচড়ার শব্দ শুনা যায়। সত্যি কথা হলো চুর ডাকাইতে রাতে ঘুম হয়না।
একটানা ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণ জানতে চাইলে, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মাদ্রাসাবাজার অভিযোগ কেন্দ্রের, ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম সবুজ সিলেটকে জানান, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ৩৩ কেভি লাইনে সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ সমস্যা হচ্ছে।
বালাগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম জহিরুল ইসলামের সাথে যোগ যোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।