কালনী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর : ডুবছে হাওর, কাঁদছে কৃষক

3ডেস্ক রিপোর্ট ::  দিরাই উপজেলার কেজাউড়া দক্ষিণ আপার বাঁধ ভেঙ্গে ভরাম হাওরে পানি ডুকছে । শুত্রবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে কালনী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার সবকটি বাঁধ উপচে এবং নদীর তীর উপচে হাওরে পানি ঢুকছে। রোববার ভোর থেকে কেজাউড়ার দক্ষিণ আপার বাঁধ ভেঙ্গে ভরাম হাওরে, কালনী নদীর তীর উপচে চাপতি ও টাংনির হাওরে পানি ঢুকছে।

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, শুক্রবার থেকে কৃষকরা নিজ উদ্যেগে বাধের কাজে নামলেও বাঁশ, চাটাই, বস্তাসহ বাঁধরক্ষার সরঞ্জাম বার বার তাগিদ দিয়েও মিলছে না। এ কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ঢল। পানি ঢুকছে হাওরে। ধান কাটার শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাওর পাড়ের কৃষক ।

এছাড়া উদগল হাওরের গাতুয়া, ছিকইন দাইড়, বরাম হাওরের রসরাজের ঢালা, চন্ডিতলা, তেরা জানি, বুড়ি দিরাই, লড়ি পাঙ্গাইস্যা, চাপতির হাওরের চাতল বিল, গাতার বন, খাকছিড়া, খালিভুই, আসমানিগুল, খাইজ্জার গুল, বড়জাই, ফাতাল জট, আতারাই, বারবন্দ, কালিগুটা হাওরের বান বিল, ফুকরাইন, বোকারভাঙ্গা, ভাটিপাড়া-আদমপুরের হাওর, মধুরাপুর-বদলপুরের হাওরসহ ছোট-বড় অনেক হাওরের অন্তত ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান পানিতে ডুবো ডুবো অবস্থায় রয়েছে। কেজাউড়া আপার বাধের ভাংগন ঠেকাতে না পারলে ২-৩ দিনের মধ্যে ভরাম হাওরের ধান পানিতে তলিয়ে যাবে।

কৃষির সাথে সশ্লিষ্টরা জানান, গত ৩ দিনের ব্যবধানে নদীতে ২ হাত পানি বেড়ে অকাল বন্যা দেখা দিয়েছে। সময় মত আপার বাধে মাটি কাটা হয়নি, সঠিকভাবে তদারকি না হওয়ায় কৃষকরা মরনপন চেষ্ঠা করেও রক্ষা করতে পারছেনা, হাওরপারের লোকজন ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি-না এ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাড়াইকৃত ধান শুকাতে গিয়েও মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নদী কানায় কানায় ভরে ওঠায় প্রতিটি হাওরের উঠতি ফসল শতভাগ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।।এ জন্যে দ্রুত ধান কাটার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।