জরিমানার টাকা হাসপাতালে জমা দিলেন দুই মন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট :: আদালত অবমাননার দায়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তাদের জরিমানার টাকা প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে জমা দিয়েছেন।
দুই মন্ত্রীর আইনজীবীরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেছেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী দুই মন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার করে জরিমানার টাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ও কিডনি হাসপাতালে জমা দেয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এবং বিচারাধীন বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের জন্য খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে ৫০ হাজার করে জরিমানা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। তাদেরকে সাতদিনের মধ্যে জরিমানার টাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও কিডনি হাসপাতালে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে সাতদিনের কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
নিঃশর্ত ক্ষমার আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে করা দুই মন্ত্রীর আবেদন নামঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এই রায় দিয়েছিলেন, মন্তব্যের মাধ্যমে আদালত অবমাননা করেছেন তারা। ২৭ মার্চ সকালে শুনানি শেষে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওইদিনের বেঞ্চে মোট ৯ জন বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মামলার শুনানিতে ছিলেন।
আপিল বিভাগের আদেশের পরে রাষ্ট্রের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘দুইজন মন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। সংক্ষিপ্ত আদেশে আদালত বলেছেন, অপরাধের গুরুত্ব এতটা বেশি যে, ক্ষমা প্রার্থনা করে তারা যে দরখাস্ত দিয়েছেন, তা গ্রহণে আদালত অপারগতা প্রকাশ করছে।’
তাই দোষী সাব্যস্ত করে দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। জরিমানার অর্থ সাত দিনের মধ্যে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ও কিডনি হাসপাতালে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। এই সাত দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ জমা না দিলে তাদেরকে এক সপ্তাহের জন্য বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এক বৈঠকে গত ৫ মার্চ দুই মন্ত্রী অনেক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সবার বিরুদ্ধে আদালত কোনো রুল ইস্যু করেননি নানা দিক বিবেচনা করে। দুইজন মন্ত্রী যেহেতু শপথ নিয়েছেন, সংবিধান ও আইনের শাসন রক্ষা করবেন। যেহেতু তাদের সাংবিধানিক দায়-দায়িত্ব আছে বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষার জন্য। সেজন্য এই দুজনের ওপর রুল ইস্যু করা হয়েছিল। আজকে দুই জনের ব্যপারে আদেশ দেয়া হল। আদালতের এই আদেশের প্রেক্ষিতে সারা দেশবাসী বুঝতে পারবে, আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা কোনো নাগরিকের পক্ষেই উচিত না।’