জিলু হত্যা : চার্জশিটে ২৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ
ডেস্ক রিপোর্ট :: চার্জশিট থেকে বাদ পড়েও শেষ রক্ষা হলো না আসামিদের। সিলেটে বহুল আলোচিত ছাত্রদল নেতা জিলুল হক জিলু হত্যা মামলায় দাখিলকৃত চার্জশিটের নারাজি আমলে নিয়ে বাদ দেয়া ১২ আসামিসহ ২৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুনঃতদন্তের নির্দেশ না দিয়ে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরু সব আসামিকে চার্জশিটভুক্ত করার আদেশ দেন। ফলে পুলিশ চার্জশিট থেকে প্রধান আসামিসহ ১২ জনকে বাদ দিয়েও রক্ষা পেলো না। পাশাপাশি সাত পলাতক আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন। রোববার ২৩ আসামিকে অন্তর্ভুক্তি ও সমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদিপক্ষের আইনজীবীরা।
বাদির আইনজীবী ফজলুল হক সেলিম জানান, নারাজি গ্রহণ করে আদালত সব আসামিকে নিজ থেকে চার্জশিটভুক্ত করেছেন। এটা আদালতের নজিরবিহীন উদ্যোগ। বেশির ভাগই পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।
২০১৪ বছরের ২৭ জুন নগরীর পাঠানটুলায় গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছাত্রদল নেতা জিলুল হক জিলুকে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুব কাদির শাহীসহ দলের ২০ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাই আহমেদ আহসান মাহবুব বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার দেড় বছর পর গত ৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই কমর উদ্দিন। এতে তিনি প্রধান আসামি শার্হীসহ ১২ জনকে বাদ ও নতুন করে ১১ জনকে অভিযুক্ত করেন।
মামলার বাদি নিহত জিলুর ভাই আহমেদ আহসান মাহবুব গত ১৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে আংশিক নারাজি দেন। নারাজি আবেদনে বলা হয়, পুলিশ কর্মকর্তা বাদিকে না জানিয়ে এবং তথ্য প্রমাণ থাকার পরও অর্থের বিনিময়ে মামলার প্রধান আসামি মাহবুব কাদির শাহী, ছাত্রদল কর্মী, মো. সাদিক, গাজী লিটন, সালেহ আহমদ, নেছার আলম শামীম, কাউসার আহমদ, নাসির আহমদ, জয়নাল আবেদীন, খাইরুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন মঞ্জু, রায়হান খান বাবলা ও হেলাল আহমদকে বাদ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার চার্জশিটের উপর শুনানি শেষ হলেও ওই দিন আদালত কি আদেশ দিয়েছেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি আইনজীবীরা।
রোববার মামলার ২০ আসামিসহ ২৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবীরা। তারা জানান, চার্জশিটে বাদ দেয়া ১২ জন ও নতুন অন্তর্ভুক্ত ১১ জন রয়েছে।
নারাজি শুনানিতে অংশ নেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম শমিউল আলম, বাদিপক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী ফজলুল হক সেলিম, জুয়েল আহমদ প্রমুখ।
বাদি আহমেদ আহসান মাহবুব জানান, চার্জশিট প্রদানের আগে আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারের কাছে প্রধান আসামিসহ কয়েকজনকে বাদ দেয়ার আশঙ্কা করে অভিযোগ করে ফল পাইনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা ইচ্ছেমত আসামিদের বাদ দেন।
তবে নারাজি দিলে আদালত আমাদের বক্তব্য আমলে নেন। আমাদের নারাজি মঞ্জুর করে সব আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন আদালত।