১৪ দলীয় ঐক্যের পরিসর বৃদ্ধি করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন -জেলা জাসদ
সিলেট জেলা জাসদের প্রথম সাধারণ সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ এক কঠিন যুদ্ধ পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। একদিকে জাতির উপর সংঘঠিত ইতিহাসের বর্বরতম অপরাধ যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। জঙ্গীবাদ মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতার জঞ্জালমুক্ত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর দাঁড় করানো এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের অভূতপূর্ব প্রচেষ্ঠা চলছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সহ ২০ দলীয় কালোশক্তি দেশকে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বাহিরে ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশকে তালেবানী ধারায় ঠেলে দিতে লাগাতার অন্তর্ঘাত-নাশকতা-আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে। এপরিস্তিতিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ অব্যাহত রাখা, জঙ্গীবাদ-মৌলবাদ-সন্ত্রাসবাদ-অন্তর্ঘাত-নাশকতা-আগুন সন্ত্রাসের হোতা ও তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করা আজ প্রধান জাতীয় কর্তব্য। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তিকে এ জাতীয় কর্তব্য পালনে ১৪ দলীয় পরিসরকে বৃদ্ধি করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল শনিবার সকালে নগরীর জেলরোর্ডস্থ সিলেট জেলা জাসদের প্রথম সাধারণ সভায় বক্তব্য প্রদানকালে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। আগামী ১১ ও ১২ মার্চ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ’র জাতীয় সম্মেলন সফলে জাসদ, সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় সিলেট শহরের জেল রোডস্থ হোটেল ডালাস’র সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাসদ সভাপতি, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ।
জেলা জাসদ’র সাধারণ সম্পাদক কে.এ.কিবরিয়া চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা জাসদ’র সদ্য সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ কলন্দর আলী, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, নারী জোট নেত্রী শামীম আখতার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা জাসদ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রফিকুল হক, যুক্তরাজ্য জাসদ’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল মনসুর লিলু, সাবেক ছাত্রনেতা ও সিলেট জেলা নেতা এডভোকেট দেওয়ান মিনহাজ গাজী।
জেলা জাসদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সামরিক শাসনের ধারা থেকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে পর্ব চলছে সে ধারাকে আরো এগিয়ে নিতে সামরিক শাসনের জঞ্জাল মৌলবাদ-জঙ্গীবাদ নির্মূল করার পাশাপাশি জনগণের অংশ গ্রহণ ও ক্ষমতায়নের জন্য দেশ শাসন ও প্রশাসন ব্যবস্থায় আরো গণতান্ত্রিক পরিবর্তন আনার কাজও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। এমনতর কঠিন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমরা সকল ধরনের বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে রাজপথে লাগাতার জনগণের রাজনৈতিক সমাবেশ ঘটানো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তিকে ১৪দলীয় ঐক্যের পরিসর বৃদ্ধি করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলা আবশ্যক।
বক্তব্য রাখেন, জেলা জসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমদ মুক্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক লাল মোহন দেব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোলেমান আহমদ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হাসিব চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রেজাউল কিবরিয়া লিমন, জনসংযোগ সম্পাদক সুমন দে, সমাজসেবা সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাকেশ ভট্টাচর্য্য, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ছালিক আহমদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কয়েছ আহমদ চাঁন মিয়া, শ্রমিক ও কৃষি শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক এ.বি.সিদ্দিক আহমদ, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুফিয়া বেগম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সুকান্ত ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুদ দাইয়ান, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আহমদ কিবরিয়া বকুল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তাজ উদ্দিন, সহ সম্পাদক আব্দুল কবীর, সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, সহ সম্পাদক শান্তনু সেন, সদস্য যথাক্রমে আলী নেওয়াজ, আহমদ আব্দুল হাই, মোস্তফা উদ্দীন মান্না, আলতাফ হোসেন, ইসহাক আলী, মুজাহিদুল মোস্তফা, মহসীন আলী চুন্নু, মোঃ আতাউর রহমান, আব্দুল মান্নান, মুকুল আহমদ প্রমূখ। বিজ্ঞপ্তি