কমলগঞ্জে আলুক্ষেতে পচন, দিশেহারা কৃষক
বিশ্বজিৎ রায়,কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ আলু ক্ষেতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। পচন রোগে আলু গাছ মরে যাচ্ছে। এতে ফলন হানির আশংকায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে আলুক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ আলু ক্ষেতে পচন রোগ আক্রান্ত হয়ে আলুগাছ পচে মরে যাচ্ছে। কৃষকরা অনুমান নির্ভর হয়ে উচ্চদামে বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক ব্যবহার করে আলু গাছ রক্ষা করতে পারছেন না।
স্থানীয় আলু চাষীরা জানান, সম্প্রতি গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহ, মেঘলা আকাশ, গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে আলু গাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে আলু চাষে প্রতি বিঘায় প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে, যদি এখন ভালো ফলন না হয় তাহলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আগামীতে আলু চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে হবে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই পচন রোগটাকে রোধ করতে হলে একমাত্র বায়ার কোম্পানীর সিকিউর, সিনজেটার এমিষ্টার টপ, রিডোমিল গোল্ড, স্কোর কীটনাশক দ্বারাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু তাও মিলছে না কীটনাশক দোকানগুলোতে। কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, পচন রোগে ইতিমধ্যে তাদের আলু ক্ষেতের সিংহভাগ গাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। একই এলাকার কৃষক তপন আহমেদ (৪৫), আসহাবুর ইসলাম শাওন (৩৫), রাধাকান্ত সিংহ (৩৬)সহ অনেকে জানান, পচন রোগে আক্রান্ত তাদের আলুক্ষেতে বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক ব্যবহার করেও সুফল পাচ্ছেন না। কৃষকেরা জানান, অনুমান নির্ভর বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক ব্যবহার করেছেন। এতে কীটনাশক ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও, কপাল পুড়ছে কৃষকদের আলু ক্ষেতে পচন রোগে কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে মাধবপুর, আদমপুর, ইসলামপুর, আলীনগর ইউপির বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামছুদ্দীন আহমেদ জানান, যারাই এ রোগের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আমাদের কাছে আসছেন আমরা তাদেরকে বায়ার কোম্পানীর সিকিউর, সিনজেটার এমিসটার টপ, রিডোমিল গোল্ড, স্কোর কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন ।