কাজী হাবিব হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানব বন্ধন
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির বি.বি.এ ৪র্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র কাজী হাবিব হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গতকাল রোববার সকাল ১১টায় সম্মিলিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানব বন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধনে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ভাইস চেন্সেলার প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার দাস বলেন, আজকে আমি তোমাদের আদালতের আসামীর কাঠগড়ায় দাড়িয়েছি, আমার সন্তান যারা হত্যা করেছে, আমি সন্তানের মৃত দেহ আমার কাঁধে নিয়ে তোমাদের দরবারে এসেছি, আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমি পুলিশ প্রশাসনকে পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শাস্তি যে সমস্ত বিধি-বিধান আছে সেই সমস্ত বিধি-বিধান আমি সঠিক ভাবে পালন করবো- আমার ওয়াদা। কিন্তু প্রশাসন যারা তদন্ত করবেন, যারা শাস্তি দিবেন, কোর্টে নিবেন তাদের কাছে আমার উদাত্ত আহ্বান আমার ছাত্রছাত্রীর পক্ষ থেকে যারা দোষী তাদের অবিলম্বে বিচার চাই। আমি জানি আমার ছেলে মারা গেলে আমার কষ্ট আসে, আমার সন্তান যারা সামনে দাড়িয়ে আছে আমি ৪ হাজার সন্তানের পিতা। যাদের ভাই মারা গেছে তাদের দু:খ আমি বুঝি এবং কেউ যদি মনে করে থাকে তাদের চেয়ে কম আমি তাদেরকে সবিনয়ে বলি আমার দু:খটা তোমরা বুঝার চেষ্টা কর। কারন এক হাবিব মারা গেছে তার মৃত আমার কাঁধে কিন্তু আরো সাড়ে ৪ হাজার ছাত্রছাত্রী আছে তাদের জীবন আমার কাঁধে। তোমরা কি চাও তাদের জীবন আমি ধ্বংস করি। আমি চাই তোমরা আমার পাশে দাড়াবে। আমি ঘোষনা করেছি প্রথম দিনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম চলবে এবং তোমরা চালাচ্ছো। আমি তোমাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি আইডি কার্ড ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, আমি নিজেও আইডি কার্ড গ্রহণ করেছি। আমাদের সিন্ডিকেট মেম্বার সিন্ডিকেটের সমস্ত বিষয়গুলো তোমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন, আমি সিন্ডিকেটের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়ে বলছি আমি বিচার চাই।
আমি সাংবাদিক ভাইদের বলছি, দেখুন আপনাদের মাধ্যমে এদেশে অনেক অসাধ্য সাধন করেছেন, আমি স্পষ্ট বলতে চাই আমরা ভিডিও ফুটেজ পুলিশ প্রশাসনকে দিয়েছি। আপনারা চাইলেও তা পেতে পারেন, তবুও আমরা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অটল থাকবো, সিন্ডিকেটের সেই সিদ্ধান্ত মতো কাজ করবো। আমি ভিসি হিসেবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে বলছি, জীবনে কোন দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি এখনো করবো না। যদি আমাকে ভিসি থেকে বরখাস্ত করা হয় তবুও আমি এ সত্যের পক্ষে থাকবো।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, প্রক্টর ড. মাহবুব ইবনে সিরাজ, আইন বিভাগের প্রধান ও সহকারী প্রক্টর হুমায়ূন কবির, জনসংযোগ কর্মকর্তা তারেক উদ্দিন তাজ, প্রফেসর ড. প্রণব কান্তি দাস, সিন্ডিকেট মেম্বার বিজিত চৌধুরী, আলী হোসেন, বাপ্পি, রুবেল, শামীম, জিহান, জাফর, সুমন সুত্রধর, রাহেল, জুবেদ, ডালিম, আবির, শিহাব, আলমগীর, জেবু, শুভ, শাহান, জাবেদ, ফাহিমা, লাকী, তামান্না, ফৌজিয়া, জান্নাত, জামিনুল ইসলাম জামি, রাজু পাঠান প্রমূখ।