মৌলভীবাজারে ছেলেকে চাকরি দেবার কথা বলে ১ সন্তানের জননীকে ধর্ষন
আব্দুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মোকামবাজারে ছেলেকে ভালো বেতনে চাকরি দেবার কথা বলে ১ সন্তানের জননীকে জোর পুর্বক ধর্ষন করেছে এক লম্পট। মামলা-মোকদ্দমার ভয়ে প্রথমে ধর্ষিতাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে কালবিলম্ব করলেও, ঘটনার এক সপ্তাহ পর এলাকার প্রভাবশালী মহল ধর্ষকের কাছ থেকে উক্ত মহিলার ইজ্জতের মুল্য বিশ হাজার টাকা গ্রহন করে,ধর্ষিতার হাতে মাত্র চার হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধামকির মাধ্যমে ধর্ষিতার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন প্রভাবশালী মহল। আর নিয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করলে ধর্ষিতাকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করার হুমকি ও দেন মাতব্বর নামের এসব প্রভাবশালীরা। জানা যায়, গত ৭ মে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বেড়িগাও গ্রামের জিন্দাল মিয়া(৫০) উত্তরভাগ ইউনয়নের পানিসাইল গ্রামের স্বামী ও পিতৃহারা ১ সন্তানের জননী(৩৫) কে তার ১২/১৩ বছরের একটি ছেলেকে মুদি দোকানে ভাল বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে মোকামবাজারের ব্যবসায়ী জামাল মিয়ার দোকানে চাকরি দেয়। চাকরির কথাবার্তা পাকাপোক্ত করে ছেলেকে দোকানে রেখে ছেলের মাকে চা-নাস্তা করানোর কথা বলে জিন্দাল মিয়ার বন্ধু মাসুক মিয়ার বাড়াটে বাসায় নিয়ে লম্পট জিন্দাল জোর পুর্বক ধর্ষন করে। পরে মামলা-মোকদ্দমার ভয়ে ধর্ষিতাকে দুই লক্ষ টাকা কাবিনের মাধ্যমে প্রথমে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষিতার হাতে কিছু টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরদিন জিন্দাল মিয়া ধর্ষিতার বাড়ি গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে ২/৪ দিন পর বিয়ের কথা বলে ধর্ষিতার ঘর মেরামত করে দেয়ার জন্য ঘরের মাপ আনে।এরপর থেকে ধর্ষিতার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় জিন্দাল।দুদিন অপেক্ষার পর ধর্ষিতা জিন্দাল মিয়াকে ফোন দিলে জিন্দাল হুমকি দিয়ে বলে সে তাকে বিয়ে করতে পারবেনা,এবং উক্ত ঘটনা কাউকে জানালে জামাল মিয়ার মুদি দোকানে চাকুরিরত তার সন্তানকে হত্যা করবে।ছেলের প্রান ভয়ে ধর্ষিতা বাধ্য হয়ে তার ছেলেকে জামাল মিয়ার দোকান থেকে কৌশলে বাড়ি ফিরিয়ে নেন। পরে তিনি বিষয়টির বিস্তারিত মোবাইল ফোনে গত ১৩ মে সাংবাদিককে জানালে ধর্ষিতার বক্তব্য রেকর্ড করে এ প্রতিবেদক জিন্দাল মিয়াকে ফোন করে তার বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেন।সাংবাদিকদের কাছে জিন্দাল মিয়া ধর্ষিতার সাথে পরিচয়ের সুত্র ধরে মাসুক মিয়ার বাসায় নেবার কথা স্বীকার করলেও ধর্ষনের কথা অস্বীকার করেন।পরদিন ১৪ মে সকালবেলা গবিন্ধপুর গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার আবুল হোসেন ধর্ষিতার গ্রামের প্রভাবশালী মনাফ মিয়াকে সাথে নিয়ে ধর্ষিতার বাড়ি হাজির হয়ে বিষয়টির আপোষ-মিমাংসার প্রস্তাব চালান। একপর্যায়ে প্রভাবশালী মনাফ মিয়া ধর্ষিতাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে এ নিয়ে সাংবাদিক বা পুলিশ না করার পরামর্শ দিয়ে ধর্ষিতার হাতে চার হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে সাদা কাগজে ধর্ষিতার স্বাক্ষর নিয়ে ধর্ষক জিন্দাল মিয়ার কাছে পৌছে দেন।ধর্ষিতার কাছ থেকে ঘটনাটি অবগত হয়ে এ প্রতিবেদক সহ কয়েকজন সাংবাদিক মনাফ মিয়ার মোবাইলে ফোন করলে মনাফ মিয়া সাংবাদিকদের ধমকের সুরে বলেন,পানি সাইল আমার গ্রাম,আর সেখানে চলে আমার হুকুম,তাই আমার মনে যা হয়েছে তাই করেছি আপনারা পারলে কিছু করেন! বিষয়টি তখন সাংবাদিকরা রাজনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নাজিম উদ্দীনের মোবাইলে ফোন করে জানানোর চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় এ,এস,পি কুলাউড়া সার্কেল(অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) কে জানানো হয়।তিনি সাংবাদিকদের কথা শুনে এ ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।