খালেদা জিয়ার ভাতিজার আওয়ামী লীগে যোগদান
ডেস্ক রিপোর্টঃ আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের কয়েকজন। এদের মধ্যে আছেন বেগম খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে-মেয়েসহ দলটির শতাধিক নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের শ্রীপুর ইস্কান্দারিয়া আলীম মাদরাসা মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাছিম ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর হাতে ফুলের নৌকা দিয়ে তারা আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
আওয়ামী লীগে যারা যোগ দিলেন তাদের মধ্যে আছেন, খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই আজহারুল হক মজুমদারের ছেলে একেএম মহিউদ্দিন সামু, আবদুল মোমিন মেম্বর, কামরুল ইসলাম, হাসনা বানু মুক্ত, হাছিনা আক্তার, আনোয়ার হোসেন, জীবন, রনিসহ দলটির শতাধিক নেতাকর্মী।
সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া সামু এক সময় উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। বিএনপির সমর্থনে তিনি তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগে যোগদান শেষে মুজিবকোট পরে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে সামু বলেন, ‘এখন থেকে শ্রীপুর থেকে জয়বাংলার স্লোগান উঠবে।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গুলশান থেকে ফোন আসছে শ্রীপুরে কী হচ্ছে, আমি বলছি আওয়ামী লীগের সমাবেশ চলছে। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন জয়বাংলা স্লোগান আর মুজিবকোট পরে বেঁচে থাকবো।’
সামু আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবারের আচরণ ভালো না, তারা মানুষকে সম্মান করতে জানে না। সাংগঠনিক কাঠামো ঠিক নেই। এসব কারণে আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি। আওয়ামী লীগের সব কিছু ভালো।’
ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, সহ-সভাপতি খায়রুল বাসার তপন, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন ও ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল প্রমুখ।
এর আগে, গত বছরের ১৩ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা জাতীয় পার্টির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সহস্রাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
উল্লেখ্য, ফুলগাজীর মুন্সীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামু একসময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সখ্য গড়ে তোলেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ফুলগাজীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী একরামুল হকের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালান। ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী সদরের একাডেমি এলাকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একরামের গাড়িতে হামলাকালেও সামু ওই গাড়িতে ছিলেন। তবে তিনি অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান।