পরস্ত্রী নিয়ে হোটেলে রাত্রি যাপন : সিলেটে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পরকীয়ার মামলা
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে সাংবাদিক নামধারী জয়নাল ও গৃহবধু তানিয়ার বিরুদ্ধে পরকীয়া সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। দীর্ঘ জট-ঝামেলা ও মামলা-হামলার পর তানিয়ার স্বামী জাকির হোসেন রোববার (১৭জানুয়ারী) রাতে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় এ অভিযোগ করেন। থানার ওসি সুহেল আহমদের নির্দেশে অভিযোগটি ডায়েরীভুক্ত করে একজন পুলিশ অফিসারের তদন্তে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, আজ থেকে বছর দেড়েক পূর্বে জাকির হোসেন দীপুর সাথে বিয়ে হয় তানিয়ার। তানিয়া সিলেট নগরীর ১০৪ শাপলা ওসমানী মেডিকল কলোনীর আতাউর রহমানের মেয়ে। আতাউর রহমান ওসমানী মেডিকেল কলেজে কোকের কাজ করেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে জয়নাল আবেদীন ওরফে অভি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার ইসলাম নগরের বাসিন্দা। সিলেট নগরীর মেন্দিবাগে শশুরের বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন এবং বর্তমানে তিনি দুই সন্তানের জনক। তানিয়া ও তার পিতৃপরিবারের সাথে বিভিন্ন কারনে পরিচয় হয় জয়নালের । এ পরিচয়ের সুত্র ধরে তানিয়া ও জয়নাল একসময় পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগে আরো প্রকাশ, গতবছরের আগস্ট মাসের প্রথমভাগে তানিয়া তার পিত্রালয়ে চলে গেলে আর স্বামীর ঘরে ফিরেনি। সেখানে থেকেই জয়নালের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক রেখে চলেছে সে। গতবছরের ১০সেপ্টেম্বর তানিয়া ও জয়নাল স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নগরীর দরগাহ গেইটস্থ হোটেল ময়রুন নেছায় উঠে। ওই হোটেলর ১০৮ নং কক্ষ ভাড়া নিয়ে তারা এক অপরের সাথে মিলিত হয়। এসময় স্বামী জাকির ও অন্যদের হাতে তারা ধরা পড়লে সেখানে মারামারিও ঘটনা ঘটে । এ নিয়ে পাল্টা পাল্টি মামলাও হয় সিলেট কোতোয়ালী থানায়। এর আগে নগরীর পশ্চিম দরগাহ গেইটস্থ হোটেল হলিসাইডেও একদিন স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে অবস্থান করে তানিয়া ও জয়নাল। পরকীয়া সম্পর্কের এসব ঘটনা নিয়ে তানিয়া ও দীপু পরিবারের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে তানিয়া পরিবার দীপুর বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা করে। একটি মামলায় দীপু ২২দিন কারভোগও করেন। পরবর্তীতে আদালতে দীপুর দায়ের করা একটি মামলা থানায় রেকর্ড হয়। ওই মামলায় বর্তমানে তানিয়া ও জয়নাল পলাতক রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে জাকির হোসেন দীপু সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় গিয়ে স্ত্রী তানিয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক জয়নাল আবেদীন অভির বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের অভিযোগ দায়ের করেন। থানার ওসি সোহেল আহমদ অভিযোগ সাধারন ডায়েরী করে একজন অফিসারে তদন্তে দিয়েছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জয়নাল আবেদীন অভির সাথে মোবাইল ফোনে (০১৭১২-৯০৪২৯১) যোগাযোগ করা হলে তিনি তানিয়া নামের ওই মহিলাকে চিনেন না বলে জানিয়েছেন।
তানিয়ার বক্তব্য জানতে তার পিতার আতাউর রহমানের সাথে মেবোইল ফোনে (০১৭৬৪৯৩০৪০৩) যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।