সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা : ছাত্রলীগ সভাপতি গুলিবিদ্ধ
ডেস্ক রিপোর্টঃ সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে শনিবার বেলা ২টায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মইনুল ও কাজী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে শনিবার বেলা দুইটার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগে নেতা ফয়সল (২২) পুলিশের বন্দুক ধরে টানাটানি করলে পুলিশ তাঁকে লক্ষ্য করে শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সল (২২) পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। ছাত্র্লীগের একপক্ষের দাবি আহত ফয়সল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি। পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। সংঘর্ষে বাকি আহতরা হলেন, পুলিশ সদস্য রাসেল ও মাহিদুল এবং ছাত্রলীগ কর্মী মারুফ, এহসান ও মইনুল। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সংঘর্ষ শেষে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক চৌধুরী নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এসে ট্রাফিক পয়েন্টে সমাবেশে মিলিত হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ সংঘর্ষে ছাত্রলীগ জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের কোন কমিটি নাই। তাই এখানে ছাত্রলীগের কোনরূপ সংশ্লিষ্টতাও নাই।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক চৌধুরী দাবি করেন, সভাপতি অবান্তর কথা বলছেন। দুই বছর ধরে কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি রয়েছে। আহত ফয়সল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি। ঘটনার সময় কোনপ্রকার উষ্কানি ছাড়া পুলিশ তাঁকে (ফয়সল) লক্ষ্যকে গুলি ছুড়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী বহিরাগতরা ছাত্রদলকে সঙ্গে নিয়ে কলেজের পরিস্থিতি অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, কলেজে ছাত্র ও বহিরাগতদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এক রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুড়ে। পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।