বিশ্বনাথে আ.লীগের সভাপতির স্ত্রীকে হয়রানির অভিযোগে সম্পাদকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা!
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে খাজাঞ্চি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধরের বিরুদ্ধে একই ইউপির সভাপতি নূর মিয়া মেম্বার বাদি হয়ে গতকাল রোববার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন-ভোলাগঞ্জ গ্রামের আবদুল মতলিবের ছেলে আবদুল গফুর ও কামরুজ্জামান।
জানাগেছে, রোববার দুপুরে পূর্ব বিরোধদের জের ধরে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউপি আ.লীগের সভাপতি ও ভোলাগঞ্জ গ্রামের নূর মিয়ার সঙ্গে তার আপন ভাই গফুর মিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ১০জন আহত হন। সংর্ঘষের পর নূর মিয়া মেম্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে নূর মিয়া উল্লেখ করেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে জায়গা নিয়ে র্দীঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। অভিযুক্ত শংকর চন্দ্র ধর একজন দলিল লেখক। সে বিভিন্ন লোকজনের জালনামধারীর মাধ্যমে দলিল রেজিষ্ট্রি করে থাকে। অপর দুই অভিযুক্ত আমার আপন ভাই। বর্তমানে বাদি খাজাঞ্চি ইউপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। শংকর চন্দ্র ধর আমার ভাইদের কু-পরামর্শ দিয়ে তাহার পক্ষে নিয়ে এলাকায় আমার মান-সম্মানহানী করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। রোববার সকাল ১০টায় বাদি বাড়ি থেকে বিশ্বনাথ বাজারে আসার পথে অভিযুক্ত শংকর চন্দ্র ধরের কু-পরামর্শে অন্য অভিযুক্তরা আমার স্ত্রী-সন্তানদের কে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে।
এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা উত্তেজিত হইয়া লাঠি-সোটা দিয়ে বাদির স্ত্রী মাসুমা বেগম, ছেলে হাফিজ মাহবুবুর রহমান ও মেয়ে আমিরা বেগমকে এলোপাতি মারফিট করে। এতে তারা আহত হয়। পরে বাদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এব্যাপারে খাজাঞ্চি ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মিয়া মেম্বার বলেন, শংকর চন্দ্র ধরের ইন্ধনে আমার স্ত্রী-সন্তানদের ওপর গফুর হামলা চালিয়েছে। শংকর চন্দ্র ধরকে প্রধান আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
খাজাঞ্চি ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধর বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। এঘটনার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আবদুল গফুর বলে, নূর মিয়া প্রভাবকাটিয়ে আমার কাছে র্দীঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছে। আমাদের ওপর নূর মিয়ার লোকজন হামলা চালিয়ে আহত করেছে। নূর মিয়ার আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। থানার অফিসার ইন-চার্জ আব্দুল হাই বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।