বিয়ানীবাজারে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ২৫
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিয়ানীবাজার-সিলেট সড়কের শেওলা সেতুর উপকণ্ঠে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যাত্রীবাহি ‘দ্রুতযান’ বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও মহিলাসহ ২৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে। বেপরোয়া গতির বাসটি সড়কের পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সাথে সাথে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
জানা যায়, সকাল ৮টার সময় যাহীবাহী বাসটি (সিলেট-জ- ১১-০৭০৭) বিয়ানীবাজার উত্তরবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যায়। বিয়ানীবাজার-সিলেট সড়কের শেওলা সেতুর উপকন্ঠ মেওয়া এলাকায় যাওয়ার পর দ্রুত গতির বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি গাছে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে মাথিউরা ইউনিয়নের সুতারকান্দি গ্রামের আবদুল হাফিজ (৪০) মারা যান। আশংকাজনক অবস্থায় ডাচ বাংলা ব্যাংক বিয়ানীবাজার শাখার কর্মকর্তা ছইফ আলম (২৭),
ওয়াহাব আলী (৪০) ও আবদুন নূর (৪৫) কে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের হাত, পা ও মাথায় আঘাত রয়েছে। এছাড়া বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চন্দন চক্রবর্তী (৪২), ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ (৪০), ফাতেমা বেগম (৩৫),
বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসাড়িপাড়ার দুলাল আহমদ (৫৮), বড়লেখার আবদুল্লা (৪৫), বৈরাগী এলাকার ফয়জুল বারী (৫০), পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামের রাজিব আলী, সুমন মিয়া (২২), নিদনপুরের সুহেল আহমদ (৪০), ঘুঙ্গাদিয়ার সামছুল ইসলাম (৪০) হারুন মিয়া (৩৪), আলী আহমদ (২৭), আবদুর রহমান (৩৭), নূর উদ্দিন (৬৫) ও এনাম উদ্দিনকে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনায় পতিত বাসের যাত্রী ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ বলেন, চালক বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। আমরা কিভাবে বেঁচে আছি- আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। বিয়ানীবাজার ফায়ার ও ডিফেন্স সার্ভিসের কর্মী বাহিনী ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল মেওয়া এলাকায় পৌঁছেছে।