ম্যানহোলে শিশু, চলছে উদ্ধার প্রচেষ্টা
ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানীর শ্যামপুরে একটি খোলা ম্যানহোলে পড়ে গেছে ছয় বছরের শিশু নীরব। শিশুটির মায়ের দাবি তার ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে।দুপুর তিনটার দিকে কয়েকজন শিশু সেখানে খেলাধুলা করছিল। এক পর্যায়ে নীরব একটি বিশাল খোলা ম্যানহোলের কাছে গিয়ে বসে বসে পানির স্রোত দেখছিল। এমন সময় খেলার ছলে তার খেলার সাথী পেছন থেকে শিশুটিকে ধাক্কা মারে। এসময় শিশুটি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ম্যানহোলের মধ্যে পড়ে মুহূর্তে হারিয়ে যায়।এক পর্যায়ে নীরবের ঐ খেলার সাথী চিৎকার দিলে অন্য শিশুরা এগিয়ে আসে। এক কান দুকান করে তা ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত পৌছে।
মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে শ্যামপুর বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের লোক। তাকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি- কন্ট্রোল) এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ৬ থেকে ৭ বছরের এক ছেলে ম্যানহোলে পড়ে যায়। খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার প্রচেষ্টা শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ম্যানহোলের ভেতরে নেমে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, শ্যামপুর ইউনিয়নের কলকারখানার বর্জে্যর একটি ম্যানহোলে পড়ে যায় শিশুটি। তার নাম নীরব। সন্ধ্যা ৭টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত নীরবকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি উদ্ধারকারীরা।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বর্জ্য নিষ্কাশনের ম্যানহোলটি ময়লা পানিতে ভরপুর। সেই পানির মধ্যে নেমে উদ্ধার কাজ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের।
স্থানীয় লোকজন আশঙ্কা করছে, ম্যানহোলের পচা পানির ভেতরে ডুবে যাওয়া নীরব কি বেঁচে আছে! তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি উদ্ধারকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহজাহানপুরের রেলওয়ে মাঠসংলগ্ন পানির পাম্পের ৩০০ ফুট গভীর একটি পাইপের ভেতরে জিহাদ নামে চার বছরের এক শিশু পড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে শিশু জিহাদকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। পরে একদল স্বেচ্ছাসেবীর প্রচেষ্টায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এ ঘটনার এক বছর যেতে না যেতেই আবার এক শিশু ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজের ঘটনা ঘটলো।