কমলগঞ্জে ৫ দিন নিখোঁজের পর নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় চা শ্রমিকের লাশ
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: নিখোঁজের ৫ দিন পর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ডবলছড়া সীমান্তেও নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় এক চা শ্রমিকের লাশ পাওয়া গেছে। কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর চা বাগানের দুই শ্রমিক রাধে শ্যাম ভর (৩৫) ও দিলিপ পাশী (৩৫) নিখোঁজ হলে ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাধে শ্যাম ভরের লাশ পাওয়া যায় সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে পাহাড়ি এলাকায় ঘাস কাটতে যাওয়া লোকজন লাশটি দেখে বিজিবি সদস্যদের খবর দেয়। বিজিবি ও বিএসএেফর আনুষ্ঠানিক বৈঠকে শেষে লাশ ফেরতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
চাতলাপুর চা বাগান সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২১ নভেম্বর) থেকে চাতলাপুর চা বাগানের নিবন্ধিত শ্রমিক রাধে শ্যাম ভর (৩৫) ও দিলিপ পাশী (৩৫) নিখোঁজ হয়েছিল। দুই চা শ্রমিক নিখোঁজের পর চাতলাপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ বিজিবি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করলে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে জানানো হয়েছিল। বিএসএফ এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছিল। নিখোঁজের ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার ডবলছড়া সীমান্তের ১৮৭৩ নং সীমান্ত খুটি সংলগ্ন নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পাহাড়ি লতা দিয়ে গলায় ফাঁস ও পা বাঁধা অবস্থায় নিখোঁজ রাধে শ্যাম ভরের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার খবর পেয়ে চাতলাপুর চা বাগানের শ্রমিকরা ও বিবিজি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তারিকুল ইসলাম খান ভুল ক্রমে দুই চা শ্রমিক ভারেত প্রবেশ করল কিনা একটু খোঁজে দেখার জন্য নিখোঁজের পর বিএসএফ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছিল। সে সময় বিএসএফ জানায়, এ ধরনের কোন খবর তাদের কাছে নেই। অথচ নিখোঁজের ৫ দিন রহস্যজনকভাবে ভারতের উত্তর ত্রিপুরা সীমান্তের ১৮৭৩ নং খুটি সংলগ্ন নো-ম্যান্স ল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া এক চা শ্রমিকের লাশ পাওয়া যায়।
শ্রীমঙ্গলস্থ বিজিবি ৪৬ ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার ল্যা: কর্ণেল নাসির উদ্দীন বলেন, লাশটি একেবারে জিরো পয়েন্টে। এখন বিজিবি বিএসএফ আনুষ্ঠানিক আলোচনা শেষে চা শ্রমিক রাধে শ্যাম ভরের লাশ গ্রহন করতে হবে। সাথে সাথে এখনও নিখোঁজ থাকা চা শ্রমিক দিলিপ পাশীকে খোঁজে বের করতে অনুসন্ধান চলছে।