ধ্রুবতারা – শাম্মী আক্তার
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম ‘তারেক রহমান’। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশে লাখো-কোটি জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক আজ মুক্তির প্রহর গুনছে। দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন আজ। এখানে মানুষ তার বলার অধিকারটুকুও হারিয়েছে। যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে একদিন বীরউত্তম জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন; দেশ স্বাধীন করেছিলেন- সেই স্বপ্নের বাংলাদেশে আজ মানুষের ভোটাধিকার নেই। নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষ ভোটাধিকারহীন। তারা একজন মুক্তির দূতের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে। ১৯৭১ সালে দিক-নির্দেশনাহীন জাতিকে যেমন করে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে উদ্বেলিত ও আশান্বিত করেছিলেন; তেমনি এক নেতার খোঁজে আজ গণতন্ত্রহীন, ভোটাধিকারহীন বাংলাদেশের মানুষ আবারো আশার প্রাণ প্রদীপের স্পন্দন বুকে নিয়ে তাকিয়ে আছে এক মুক্তির দূতের প্রতীক্ষায়। এদেশের কোটি কোটি দেশপ্রেমিক মানুষেরা আজ এই ঘোর অমানিশায় এক উজ্জল নক্ষত্রের ফেরার প্রতীক্ষায় আছে।
আমি এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বিশ্বাস করি, যেমন করে একদিন এই দেশের মানুষ সবুজ ঘাস আর নীল আকাশ মুক্ত করে কাঁচের মত স্বচ্ছ রোদ্দুরে মুক্ত নিঃশ্বাস নিয়েছিল- স্বাধীন বাংলাদেশে তেমনি করেই খুব নিকট ভবিষ্যতে সেইসব মানুষেরা আবার জেগে উঠবে। অতঃপর তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে বিপন্ন গণতন্ত্রকে প্রাণীত করবে। খুব বেশি দূরে নয় সেই দিন। কারণ লাখো-কোটি জাতীয়তাবাদীরা প্রতীক্ষায় আছে। তাদের স্বপ্নের মুক্তির দূত; আলোর দিশারী এবং তাদের হৃদয়াকাশের ধ্রুবতারা তারেক রহমান- সেই মহারণের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে কলুষমুক্ত করবেন। অপামর দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীদের এক কাঙ্খিত আশা যে, তারুণ্যের গৌরবময় অহংকার তারেক রহমান সুস্থ হয়ে অচিরেই দেশে ফিরবেন। তিনি বিপন্ন গণতন্ত্র উদ্ধারে নেতৃত্ব দেবেন। আর তার নেতৃত্বেই আমরা এদেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেব।
আমি আরো বিশ্বাস করি, যেদিন তিনি এই ঘোর অমানিশা থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে ফিরবেন তার প্রিয় স্বদেশ জন্মভূমিতে। সেদিন জনতার হর্ষধ্বনিতে মুখরিত হবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। মানুষের ভালোবাসায় আর পুষ্পবৃষ্টিতে ভাসবে বিমানবন্দর। সেই ভালোবাসা আর পুষ্পবৃষ্টির মুশল ধারায় সকল অমানিশা কেটে বাংলাদেশের আকাশে গণতন্ত্রের উজ্জল উপস্থিতি আলোকিত করবে দশদিক।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসাধারণ দেশপ্রেম যার মধ্যে অনুরণিত হচ্ছে। তিনিই আমাদের প্রিয় মানুষ, প্রিয় নেতা ‘তারেক রহমান’। আগামীদিনে অগণিত মানুষের চোখের মণি এবং রাষ্ট্রনায়ক হবার অমিত সম্ভাবনা যার মধ্যে বিরাজমান। তিনি আমাদের প্রিয় নেতা ‘তারেক রহমান’। তিনি যে তার পিতা এবং মাতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবেন- এ বিশ্বাস বুকে নিয়ে আজো অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ ও জাতি।
তারেক রহমান এক দ্যুতিময় নাম। বাংলাদেশের লাখো-কোটি জাতীয়তাবাদীদের স্বপ্নের আকাশে আজ এই দ্যুতির ফেরার প্রতীক্ষা চলছে। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর পাখির কুজন আর ফুলের সুভাস ছড়িয়ে এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোল আলোকিত করে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন। আজ তিনি প্রবাসে চিকিৎসাধীন থাকলেও অদম্য স্বপ্ন দেখেন এদেশকে নিয়ে; দেশের মানুষকে নিয়ে। তার চিন্তা, তার স্বপ্ন, তার সংগ্রাম সবই এদেশের মাটি আর মানুষের কল্যাণে নিবেদিত।
*লেখক: সাবেক এমপি ও সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি।