সিলেটে টোল আদায় নিয়ে উত্তেজনা : ১৪৪ ধারা জারি
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট সদর উপজেলার সাহেবের বাজাওে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। টোল আদায় নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান থাকায় বুধবার দুপুর ১২:৩০ টায় এ আদেশ জারি করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মনোয়ার মুর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, সাহেববাজার মাদরাসার কোন আয় না থাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের খরচ মেটানোর জন্য সরকার থেকে বাজারের লিজ নিয়ে টোল আদায় করতো মাদরাসা কতৃপক্ষ। সম্প্রতি সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন থেকে সাহেব বাজার টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ দেয়া হয়। এ খবরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকার লোকজন নতুন করে অন্যকে দেয়া লিজ বাতিল করে তাদের নামে পূণরায় বহাল রাখার জন্য ও জেলা প্রশাসকের কাছে ২০ এপ্রিল স্মারকলিপি দেন।
মাদরাসার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত সনে এই বাজার ২ লাখ টাকায় লীজ আনে মাদরাসা কর্তপক্ষ। কিন্তু এবার কিভাবে তা ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় লীজ দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ওসি শাহ জামান জানান, স্থানীয় সাহেববাজার সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও লীজ গ্রহীতা আলাউদ্দিনের লোকজন বাজারের টুল আদায় নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সংঘাত এড়াতে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। খাদিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান- সাহেবেরবাজারে টুল আদায়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় সুন্নিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা ও লীজ গ্রহীতা আলা উদ্দিন মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট আহবান করলে তা বিচারের মাধ্যমে নিস্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ইজারাদার পক্ষ বিচার মানেনি।
সাবেহেরবাজার কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান-গত শনিবার দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এর প্রেক্ষিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার দাবিতে আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। সিলেট সদর উপজেলা আশফাক আহমদ জানান-‘বুধবার সকাল থেকে বাজার এলাকায় মাদরাসা ও ইজারাদার পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করতে প্রশাসনকে সুপারিশ করি। খোন্দকার মনোয়ার মুর্শেদ জানান- ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত বছর ওই বাজারে খাস কলেকশন করা হয়। এবার টেন্ডার আহবান করলে আলাউদ্দিন ইজারা নেন। কিন্তু উন্নয়নের স্বাথে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বাজারের টুল আদায় করতে চাচ্ছেন।